আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য: কৃষিমন্ত্রী
৮ জুলাই ২০১৯ ০৩:১৮
ঢাকা: দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে কৃষি ও কৃষক কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয়, বরং অপরিহার্য। কৃষি উৎপাদন ভালো হলেই জাতীয় অর্থনীতি সবল ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।’
রোববার (৭ জুলাই) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক কেবল খাদ্য উৎপাদনেই নয়, পুষ্টি সমস্যা সমাধানে, শিল্পায়নে, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং সর্বোপরি জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যের অধিকাংশই আসে কৃষি থেকে। খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে শিল্পের কাঁচামাল পর্যন্ত সবকিছুর যোগান দেয় কৃষি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতি নির্ভর। প্রকৃতির সাথে লড়াই করে কৃষকেরা আমাদের খাবারের যোগান দেয়। এক সময় বাংলাদেশ ছিল খাদ্য ঘাটতির দেশ, মঙ্গা কবলিত দেশ। এখন আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। দেশের ৪০ শতাংশ জনশক্তি কৃষির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪ শতাংশ, যদিও জিডিপিতে এর অবদান দিনদিন কমছে। তবে এটা ভালো লক্ষণ যে আমাদের কলকারখানা বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষের আয় বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টি নিশ্চয়তা ও কৃষির আধুনিকায়ণের অঙ্গীকার ছিলো। কৃষি উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকরণ করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকরণের লক্ষ্যে সরকার কৃষিযন্ত্রে সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে। সারের মুল্য তিন দফা কমানো হয়েছে, সেচে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কৃষির সমস্যা হচ্ছে আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে রপ্তানির কোন বিকল্প নেই।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালেয়র ভিসি প্রফেসর আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম ইসমাইল হোসেন, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর মোহাম্মদ কুদ্দুস ও প্রফেসর এইচ এম সিদ্দিক।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ওএম