Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন


৮ জুলাই ২০১৯ ১৬:১৫

ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতীয় করণের দাবিতে টানা ২৩ দিনের মতো অনশন করছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এই অনশন কর্মসূচিতে বসেন।

এর আগে গত ৩ জুলাই থেকে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে। সোমবার (৮ জুলাই) ছিল আমরণ অনশনের ষষ্ঠ দিন।

জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়া হবে উল্লেখ করে অনশনকারী শিক্ষকরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল ২৭ মে ২০১২ তারিখের আগে থেকে পাঠ দান শুরুর আবেদনকারী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে। সেগুলোর মধ্য থেকে তৃতীয় ধাপে বাদপড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের দাবিতে অনশন করছি।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী শাজু বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের দাবি করে আসছি। দাবি আদায়ের জন্য প্রথমে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলাম। এরপর প্রতীকী অনশনের ডাক দেই। প্রতীকী অনশন থেকে আমরা অনশনে যাই। দীর্ঘ ২৩ দিন যাবত এখানে অনশন করছি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। আমাদের দাবিগুলো তাদের সামনে তুলে ধরেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব স্কুল জাতীয়করণ করা হয়নি, সেসব স্কুলের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে শিক্ষাদান করে আসছে। শিক্ষকদের কোনো উপার্জন না থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষককেই স্কুল শেষে বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। এমনকি শিক্ষকদের টিউশনি, কৃষিকাজ, রাজমিস্ত্রীর কাজ অথবা ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে উপার্জন করে পরিবারের খরচ যোগাতে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

তারা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। তাদের প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল- ‘চাকরি আছে বেতন নাই, এমন রাষ্ট্র কোথাও নাই’; ‘মা ভাত চাই’; ‘বেসরকারি প্রাইমারি, করে দাও সরকারি’; ‘রাস্তায় শুয়ে শিক্ষক, নহে ওরা ভিক্ষুক’; ‘ভিক্ষা চাই না যৌক্তিক দাবি জাতীয়করণ চাই।’

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সারাদেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেয় সরকার। সে সময় ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ৪ হাজারের কাছাকাছি স্কুল বাদ পড়ে যায় সেই তালিকা থেকে। তখন থেকেই বাদ পড়ে যাওয়া ৪ হাজার স্কুল জাতীয়করণের দাবি তুলে আসছেন শিক্ষকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ১৮ দিন প্রেসক্লাবের সামনে তারা অবস্থান নেয়। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের জানানো হয়, এ বিষয়য়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু একবছরের বেশি সময়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষকরা।

সারাবাংলা/এসএএম/এমআই

জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর