Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ট্রাম্পকে ‘অদক্ষ’ ‘অযোগ্য’ মন্তব্য; এবার ড্যারোচকে আক্রমণ!


৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:২১

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে ‘অদক্ষ’, ‘অকার্যকর’ এবং ‘বিভক্ত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ড্যারোচ। ফাঁস হওয়া ই-মেইল বার্তা সংবাদ শিরোনামে আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আক্রমণ করে বসলেন আরেক মন্তব্যে।

ড্যারোচকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখছি না।’

বিজ্ঞাপন

ব্রিটেনে রাণী এলিজাবেথের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের সপ্তাহ খানেক পর এমন খবরে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।

আসলে কি ছিল সেই সংবেদনশীল ই-মেইল বার্তায়?

ট্রাম্পের ব্রিটেন সফরের পর লন্ডনে ড্যারোচের পাঠানো কয়েকটি ই-মেইল বার্তা ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনকে ‘অদক্ষ’, ‘অকার্যকর’ এবং ‘বিভক্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন ড্যারোচ। এমন বিস্ম্ফোরক মন্তব্যে ভরা এসব ই-মেইল বার্তা ফাঁস হওয়ার পর গত রোববার তা অনলাইন সংস্করণে প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইল।

রাষ্ট্রদূত ড্যারোচ লন্ডনে পাঠানো ই-মেইল বার্তায় বারবার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি যে কোনো সময় ‘ভেঙে’ পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবন ‘অমর্যাদাপূর্ণভাবে শেষ হতে পারে’।

এসব গোপন ই-মেইল বার্তা যাচাই-বাছাই করে দেখেছে মেইল অনলাইন। লন্ডনে পাঠানো একটি গোপন ই-মেইল বার্তায় রাষ্ট্রদূত ড্যারোচ লিখেছেন, ‘আমরা মনে করি না, ট্রাম্প প্রশাসন স্বাভাবিকভাবে কোনো কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।’ তবে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্যটি তিনি করেছেন ট্রাম্পকে ‘অনিরাপদ’ এবং ‘অপদার্থ’ হিসেবে উল্লেখ করে।

বিজ্ঞাপন

ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ট্রাম্পের সফরটি কূটনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে লন্ডন। যদিও ট্রাম্পের ওই সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যের জনগণ স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লন্ডনের রাজপথে বিক্ষোভও করেছেন অনেক মানুষ।

তার পরপরই এমন বার্তা ফাঁস হলে ফুসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। টুইটারে ট্রাম্প এও বলেছেন, ড্যারোচের এমন অ্যাপ্রোচ পছন্দ হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো চিন্তা নয় এটি।

এদিকে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ড্যারোচের উপর ‘পূর্ণ বিশ্বাস’ আছে বলে জানিয়েছেন।

ফাঁস বার্তা নিয়ে তাই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এর শেষ কোথায় সেটাই এখন দেখার পালা।

সারাবাংলা/জেএইচ

কিম ড্যারোচ ডোনাল্ড ট্রাম্প রাণী এলিজাবেথ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর