চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে আরও ১৬ বসতি উচ্ছেদ
৯ জুলাই ২০১৯ ২০:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী আরও ১৬টি পরিবারকে পাহাড় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গত তিনদিনের অভিযানে পাহাড় থেকে ১০০টি বসতঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর আমিন জুট মিল সংলগ্ন বায়েজিদ বোস্তামি থানার বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চারজন সহকারী কমিশনার একসঙ্গে এই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন।
চার সহকারী কমিশনার হলেন- তাহমিলুর রহমান, ফোরকান এলাহী অনুপম, সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা এবং মো. তৌহিদুল ইসলাম। রেলওয়ে, পরিবেশ অধিদফতর, পিডিবি, ওয়াসা এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের কর্মকর্তারাও উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন।
সহকারী কমিশনার তৌহিদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আগে থেকে চিহ্নিত করা ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘরগুলো আমরা উচ্ছেদ করে পাহাড়কে অবৈধ বসতিমুক্ত করছি। এছাড়া চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। উচ্ছেদের পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসরত সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তিনি জানান, অভিযানে পাঁচটি পিডিবির মিটার ও ৭টি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মিটার জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ওই পাহাড়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তাহমিলুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সাতশ’রও বেশি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে মৃত্যুর ঘটনার পর অনেকেই স্বেচ্ছায় পাহাড় ছেড়ে আসছেন। এরপরও যারা রয়ে যাচ্ছেন, তাদের আমরা সরিয়ে দিচ্ছি। এর পাশাপাশি উচ্ছেদ তো আছেই।’
গত ৩ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে ১৫ দিনের ‘ক্র্যাশ প্রোগাম’ শুরু করে জেলা প্রশাসন। অভিযান চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের জন্য নগরীর মতিঝর্ণা, বাটালী হিল, পোড়া কলোনী পাহাড়, একে খান পাহাড়ে ৩৫০টি বসতঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম ধাপের উচ্ছেদ শেষে দ্বিতীয় ধাপে ১৪টি পাহাড়ে আরও ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর চিহ্নিত করে অভিযান শুরু হবে।
এর আগে গত মে মাসে চট্টগ্রাম নগরীর ১৭টি পাহাড় থেকে চিহ্নিত ৮৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ করে সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ