জামায়াত নেতাকে নিয়ে সেমিনার: চবি‘র তিন শিক্ষককে শোকজ
১০ জুলাই ২০১৯ ০০:১৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সেমিনারে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি, জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদকে অংশ নিতে দেওয়ায় তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯জুলাই) বিকেলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ এনামুল হক, পিএইচডি সুপারভাইজার অধ্যাপক ড. এ এফ এম আমীনুল হক, এবং সেমিনার আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ড.মুহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন কাদেরীর কাছে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়েছে। হামিদুর রহমান আযাদের পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে বহির্ভুতভাবে সেমিনার আয়োজন করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আগামী তিন দিনের মধ্যে শিক্ষকদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও উক্ত বিষয়ে সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসানকে আহ্বায়ক ও শিক্ষা ও গবেষণা শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে দেশের কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘চবিতে বিশেষ ব্যবস্থায় সেমিনার করলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দূরভিসন্ধীমূলক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহীকে নিয়ে যে মনগড়া এবং আপত্তিকর সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
আরো বলা হয়েছে, সংবাদের একাংশে উল্লেখ করা হয়েছে ‘উক্ত গবেষকের সাথে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার-এর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে যে, উপাচার্য (রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার-এর সাথে উক্ত পিএইচডি গবেষকের পারিবারিক সম্পর্কতো দূরের কথা তার সাথে পরিচয়ও নেই। সুতরাং এ ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও দূরভিসন্ধীমূলক সংবাদ প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট অনলাইন পোর্টালসহ সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আমি এখনো নোটিশ পাইনি। বিষয়টি আমার জানা নেই।’
সারাবাংলা/সিসি/জেএইচ