শিক্ষককে হেনস্থা, ইউএসটিসির সেই ছাত্র ফের রিমান্ডে
১০ জুলাই ২০১৯ ২০:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অফিস থেকে শিক্ষককে বের করে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গ্রেফতার মাহমুদুল হাসান (২২) ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স শ্রেণির ছাত্র।
বুধবার (১০ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মো. সফি উদ্দিন এই আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান।
শিক্ষককে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা: শিক্ষার্থী রিমান্ডে
এর আগে গত ৩ জুলাই মাহমুদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। দুদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে খুলশী থানা পুলিশ।
এডিসি কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, প্রথম দফা রিমান্ড শেষে তাকে আবারও পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন।
গত ২ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে ইউএসটিসির ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে অফিস থেকে টেনে বের করে রাস্তায় নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করে একদল শিক্ষার্থী। এরপর ওই শিক্ষার্থীরাই আবার নগরীর খুলশীতে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের সামনে প্রায় একঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এই ঘটনার পর পুলিশ ইউএসটিসির ক্যাম্পাস থেকে মাহমুদুল হাসানকে আটক করে। রাতে ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় শুধুমাত্র মাহমুদুলকে আসামি করা হয়।
অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর ইউএসটিসিতে যোগ দিয়েছেন।
ইংরেজি সাহিত্যের কোর্স কারিকুলামের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি কবিতা পড়াতে গিয়ে নারী-পুরুষের জৈবিক সম্পর্ক, বিভিন্ন শারীরিক প্রক্রিয়া, পোশাক নিয়ে ক্লাসে নিয়মিত আলোচনা করেন শিক্ষক মাসুদ মাহমুদ। সেসব বিষয়কে যৌন হয়রানি হিসেবে অভিযোগ তুলে ইউএসটিসির একদল শিক্ষার্থী গত এপ্রিলে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। পুলিশের দাবি অনুযায়ী- যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে আন্দোলনকারীরাই মাসুদ মাহমুদকে হেনস্থা করেছেন।
তবে মাসুদ মাহমুদের দাবি- ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কয়েকজন শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করেন। এরপর তাদের ইন্ধনে শিক্ষার্থীদের একাংশ একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই