Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রির্জাভ চুরির ২ বছর: ফেরত আসেনি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার


৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:২৫

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির আজ দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৬ সালের  ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বির্জাভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ চুরি করে নেয়া হয়। চুরি হওয়া এই অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে ২ কোটি ডলার এবং ফিলিপাইন থেকে ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত আনা হয়েছে। ফিলিপাইনে থাকা অবশিষ্ট ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার (৫৪৪ কোটি টাকা) এখনো ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। কবে আনা যাবে কিংবা আদৌ এটা আনা যাবে কিনা তা নিয়েও নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১৯৪ কোটি ডলার চুরি করার চেষ্টা করা হলেও বানান ভুলের কারণে তা সম্ভব হয়নি। বিশ্বব্যাপী আলোচিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গর্ভনর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর কোন কর্মকর্তাকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত শাস্তির আওতায় আনা যায়নি। আর এজন্য বিশ্লেষকরা দায়ী করছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়াকে। তারা অবিলম্বে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

সূত্র জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলেও এখন পর্যন্ত সরকার তা প্রকাশ করেনি।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় দায়ের একটি মামলায় দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ইতিমধ্যে ২৩ মাস হতে চলেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত সিআইডির পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। বরং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ বার আদালত থেকে সময় নিয়েছে সিআইডি। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।

এদিকে, সম্প্রতি মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে রিজার্ভ চুরির সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, এখন পর্যন্ত ফিলিপাইন থেকে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফেরত এসেছে। ৬০ লাখ ডলার ফেরত আনার বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। বাকি অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদালতে প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন, ২৯ জানুয়ারি সিআইডির একটি টিম ফিলিপাইনে গেছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের এই মুর্হুতে করনীয় হলো, প্রশাসনিক ও সিআইডি‘র তদন্ত প্রতিবেদন দুটি দ্রুত প্রকাশ করা উচিত। একই সঙ্গে প্রতিবেদন দুইটি আলোকে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। কারণ প্রতিবেদন দুইটি অনেকদিন ধরে ঝুলে আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজন হলে পুরো টাকাটাই যেন ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে জরিমানা বাবদ, আদায় করা যায়, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে। এটা সম্ভব বলেও আমি মনে করছি। কারণ ফিলিপাইনের রিজার্ভ ব্যাংকের জন্য ৫০০/৬০০ কোটি টাকা তেমন কিছু না। তিনি আরো বলেন, রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ী করা হয়েছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি)। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। সেই মামলা পরিচালনার জন্য দেশী বিদেশী অভিজ্ঞ আইনজীবি নিয়োগ দিতে হবে।

সারাবাংলা/ জিএস/জেএএম

 

 

 

 

 

 

 

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর