ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরের প্রমোশন সংক্রান্ত রিটের আদেশ তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রুল শুনানি শেষে (১১ জুলাই) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এনামুল বাছির সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় হাইকোর্ট এ সিদ্ধান্ত নেন। আদালতে শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আর খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
কামাল হোসেন বলেন, ‘এনামুল বাছির এরইমধ্যে সাসপেন্ড হয়েছেন। এ কারণে তার প্রমোশন চেয়ে মহাপরিচালক পদ খালি রাখার আদেশ তুলে দিয়েছেন আদালত। বাছিরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শেষ হলে রুলটির পরবর্তী শুনানি হবে। উনি যদি তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হন, তাহলে রুলের শুনানি হবে আর যদি চাকরিচ্যুত হন তাহলে রুলটা অকার্যকর হবে।’
আইনজীবী জানান, আটটি মহাপরিচালক পদে নিয়োগে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত জানুয়ারিতে রিট করেন এনামুল বাছির। বাছিরকে কেন প্রমোশন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। দুদকের আটটি মহাপরিচালক পদের মধ্যে একটি বাছিরের জন্য খালি রাখতে হাইকোর্ট অন্তবর্তীকালীন আদেশ দেন। আজ (বৃহস্পতিবার) রুলটির বিষয়ে শুনানি ছিল।’
আদালত দুদকের আইনজীবীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তদন্ত কবে শেষ হবে? জবাবে দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘একমাসের মতো সময় লাগতে পারে।’ এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২৫ আগস্ট দিন ঠিক করেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, গত ২ জানুয়ারি এনামুল বাছিরের এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। পরে ২৯ জানুয়ারি আদালত তার জন্য মহাপরিচালকের একটি পদ খালি রাখতে নির্দেশ দেন। এরমধ্যে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের এই কর্মকর্তা সাসপেন্ড হয়েছে। বিষয়টির এখন তদন্ত চলছে।’
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনামুল বাছিরকে ১০ জুন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সারাবাংলা/এজেডকে/একে