বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ঠকিয়েছে বোয়িং?
১২ জুলাই ২০১৯ ১৬:৫২
গত বছরের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় মারা যায় বিমানটির ১৮৯ যাত্রীর সবাই। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পরবর্তী জানা যায়, বোয়িংয়ের ‘সূক্ষ্ম কারিগরি ত্রুটির’ কারণে ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। পরবর্তীতে বোয়িং কোম্পানি দুর্ঘটনায় নিহতদের কিছু পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়। তবে এ নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন! খবর বিবিসির।
নিহতদের পরিবার ও আইনজীবীদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণ দিতে গিয়ে বোয়িং ভুক্তভোগীদের ঠকিয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত একা নামের এক যাত্রীর স্ত্রী মার্ডিয়ান। তিনি বলেন, আমাকে কিছু কাগজপত্র দেওয়া হয়। বলা হয় ক্ষতিপূরণ পেতে হলে কাগজে সই করতে হবে। সেসবে লেখা ছিল আমি বোয়িং বা লায়ন এয়ারের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবো না।
মার্ডিয়ান আরও বলেন, তারা আমাকে পীড়াপীড়ি করছিল। বলছিল, তোমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার উচিত। সই করার কয়েক ঘণ্টা পরই তুমি টাকা পাবে এবং তোমার জীবন চালিয়ে নিবে। কিন্তু আমি তা চাই না। এটা শুধুই টাকার বিষয় নয়। বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমার স্বামীর জীবন।
অনেকেই বোয়িং এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিতে যায়নি। তবে ৫০টির মতো পরিবারকে বুঝাতে সক্ষম হয় বোয়িং ও কোম্পানিটির ইনস্যুরেন্স প্রতিনিধি দল। প্রতিটি পরিবার পেয়েছেন ৭৪ হাজার পাউন্ড করে। এটাও বিতর্কিত! কারণ ইন্দোনেশিয়ার আইনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এমনিতেই ৭১ হাজার পাউন্ড করে পাওয়ার কথা। এরসঙ্গে রয়েছে ‘গাফিলতির’ অভিযোগে দুর্ঘটনা।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন সঞ্জীব সিং নামে আমেরিকান একজন আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছ থেকে সই নিয়ে তাদেরকে ঠকানো হয়েছে। এতে লাভবান হলো বোয়িং। প্রতিটি মৃত্যুর জন্য কয়েক লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিৎ বোয়িং এর।’
সারাবাংলা/এনএইচ