Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গান-আবৃত্তি-কথামালায় বর্ষাবরণ


১২ জুলাই ২০১৯ ২১:৩১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাঙালির প্রাণের ঋতু বর্ষাকে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে বরণ করেছে প্রয়াত গণসঙ্গীত শিল্পীর রবীন দে’র নামে প্রতিষ্ঠিত ‘রবীন দে সঙ্গীত বিদ্যালয়।’ সুরমূর্ছনায় বর্ষার আবাহনের পাশাপাশি ছিল আবৃত্তি- কথামালাও।

শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় নগরীর মোমিন রোডে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের কার্যালয়ে বর্ষাবরণের অনুষ্ঠান হয়েছে। উদীচী ও রবীন দে সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিল্পীদের সঙ্গীতে শুরু হয় বর্ষাকে বরণের আনুষ্ঠানিকতা।

কথামালায় অংশ নেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফি ও সহ-সভাপতি ডা. চন্দন দাশ, বোধন আবৃত্তি পরিষদের অ্যাডভোকেট নারায়ণ বিশ্বাস ও মাইনুল আজম চৌধুরী, চট্টগ্রাম থিয়েটারের অ্যাডভোকেট দীপক দাশ। সঞ্চালনা করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্তা।

মুশতারি শফি বলেন, ‘বর্ষা আমাদের প্রাণের মাঝে নানাভাবে শান্তির স্পর্শ আনে। গরমের তীব্রতাকে বিদায় দিয়ে প্রকৃতিতে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় এই ঋতু। এজন্যই বাঙালি বর্ষাকে হৃদয় দিয়ে বরণ করে। প্রতিবছর বর্ষার আগমণে এই বাংলায় উৎসবের দোলা লাগে। প্রকৃতির মধ্য থেকেই বাঙালি সমাজে তৈরি হয়েছে তার আবহমান সংস্কৃতি। তাই বর্ষা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

চন্দন দাশ বলেন, ‘বর্ষায় প্রকৃতি নতুনভাবে সেজে ওঠে। কদম ফুলের ঘ্রাণ সবাইকে মুগ্ধ করে। আকাশে যখন মেঘের লুকোচরি হয়, তখন বাঙালির মন উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। এই বর্ষা নিয়েই রচিত হয়েছে অনেক কাব্য-গান, সাহিত্য। আমরা প্রকৃতির শুদ্ধতা চাই। আমরা ষড়ঋতুর বাংলাদেশ চাই। এজন্য প্রকৃতির বিভিন্ন রূপকে হৃদয়ের সবটুকু উচ্ছ্বাস দিয়ে আবাহন আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

কথামালা শেষে একক সঙ্গীতে অংশ নেন- মানস পাল চৌধুরী, মিতালী রায়সহ আর কয়েকজন শিল্পী। এসময় একক ও বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশিত হয়। এছাড়া দলীয় সঙ্গীতও পরিবেশন করেছেন বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। এরপর ছিল সম্মিলিত আনন্দ আয়োজন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

ঋতু বর্ষা রবীন দে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর