Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছয় জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু


১৩ জুলাই ২০১৯ ১৬:৩২

ঢাকা: পাবনা, সুনামগঞ্জ, রাজশাহী, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

এর মধ্যে পাবনার বেড়ায় পাট ধোয়ার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা-ছেলেসহ চারজন। এরা হলেন, বেড়ার চাকলা ইউনিয়নের পাঁচুড়িয়া গ্রামের মোতালেব সরদার (৫৫), মোতালেবের দুই ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২২) ও শরিফ উদ্দিন এবং একই গ্রামের রহম প্রামাণিক (৫৫)।

বিজ্ঞাপন

বেড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে তারা পাট ধুচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, হারিদুল মিয়া (৪৭) ও তার ছেলে মো. তারা মিয়া (১২)। তাদের বাড়ি উপজেলার ২ নম্বর দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মানিক কিলা গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার ঘারকিত্তা হাওরে মাছ ধরতে যান হারিদুল ও তার ছেলে। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বজ্রপাতে দুরুল হোদা (৫৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। এদিন দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বেনীপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আজম তৌহিদ সারাবাংলাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় এবং বৃষ্টি শুরু হয়। দুরুল হোদা সে সময় মাঠে রোপন করছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

বিজ্ঞাপন

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় গরু চরাতে মাঠে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে এনামুল হক (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক সারাবাংলাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এনামুলের বাড়ি সন্ন্যাসীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী।

মোজাম্মেল হক জানান, সকালে গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন এনামুল। পথেই বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় সে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ময়মনসিংহের ফুলপুর ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজন মারা গেছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন। এদিন দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এরা হলেন, জামাল উদ্দিন (৪০), সোহাগ মিয়া (২৪) ও চৈত বমর্ণ (২২)। জামাল উদ্দিনের বাড়ি ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নে। সোহাগ মিয়ার বাড়ি উপজেলার বওলা ইউনিয়নের রামসোনা গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মজিদ।

অন্যদিকে ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় মারা গেছেন চৈত বর্মণ (২২)। তার বাড়ি কালাদহ ইউনিয়নের বড়বিলা এলাকায়। বজ্রপাতে আহত হয়েছে তার ভাই মনিন্দ্র বর্মণ (২৪)।

ফুলপুর ও ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্যের নিশ্চিত করেছেন।

ফুলপুর থানার ওসি জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পয়ারী গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বাড়ির পাশে জমিতে ধানের চারা রোপন করতে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে মারা যান। একই সময় সোহাগ মিয়া তার খামারের হাঁস চরাতে যাচ্ছিলেন, পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি জানান, উপজেলার বড়বিলা বিলে চৈত বর্মণ ও তার বড় ভাই মনু বর্মণ মাছ ধরছিল। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই চৈত মারা যান। এতে তার ভাই মনু আহত হয়েছেন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এরা হলেন, মকবুলের ছেলে আল আমিন (৩০), গোলাম রসুলের ছেলে হুদা (৩২) ও মো. বরকতের ছেলে হামিদুল (৩৫)। তাদের বাড়ি মেহেরপুরের বারাদি ইউনিয়নে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোনিয়া আহমেদ সারাবাংলাকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সারাবাংলা/পিটিএম/এটি

পাবনা বজ্রপাত মৃত্যু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর