Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছয় মাসেও শেষ হয়নি প্রতীক আত্মহত্যার তদন্ত


১৩ জুলাই ২০১৯ ২১:৪৭ | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৯ ২২:৩২
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তাইফুর রহমান প্রতীক

তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ছয় মাস পেরিয়ে গেছে। তবুও প্রতীকের আত্মহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি।

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের শিক্ষার্থী তাইফুর রহমান প্রতীক (২৫) গত ১৪ জানুয়ারি আত্মহত্যা করেন।

প্রতীকের আত্মহত্যার পর ওই সময় তার বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তার মৃত্যুর জন্য বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করেন।

তিনি ওই সময় অভিযোগ করেন, মাস্টার্সের থিসিসের জন্য কোনো সুভারভাইজার দেওয়া হয়নি প্রতীককে। তার ভাইয়ের যোগ্যতা থাকলেও তাকে বঞ্চিত করতেই এমন কৌশলের আশ্রয় নেয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করার কারণেই বিভাগের শিক্ষকরা প্রতীকের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রতীকের স্বজনদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. মো আনোয়ারুল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর মো. সামিউল ইসলাম। তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে তিন দিন সময় দেওয়া হয়। তবে এরপর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি।

এতদিনে প্রতিবেদন জমা না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রতীকের স্বজনরা। তাদের দাবি, ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কালক্ষেপণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রতীকের বাবা তৌহিদুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষকদের প্ররোচনায় আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।  বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সুরাহা হওয়া উচিত।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই সময় লাগছে। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার যাতে সুষ্ঠু  তদন্ত হয় সে জন্য আমি তদন্ত কমিটিকে অনুরোধ করেছি। আমি বিশ্বাস করি উনারা তা করে যাচ্ছেন। আশা করি তদন্ত প্রতিবেদন খুব শীঘ্রই আমরা পাব।’

প্রতীক শাবিপ্রবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সারাবাংলা/আইই

প্রতীক আত্মহত্যা