রাঙ্গামাটির কিছু এলাকায় কমছে বন্যার পানি
১৫ জুলাই ২০১৯ ১০:২৭
রাঙ্গামাটি: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলায় বন্যায় নিম্লাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) পর্যন্ত কিছু উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হয়েছে। আর কিছু উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কিছু উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে পৌরসভা এলাকা, লাইল্যাগোনাসহ বেশকিছু এলাকায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।
রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবিব জিতু জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বন্যা দূর্গতদের জন্য ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও ১৫ মেট্রিকটন ত্রাণ সামগ্রী উপজেলায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১৫ জুলাই) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জেলার বরকল উপজেলা ও বিলাইছড়ির দুর্গম ফারুয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। বরকল উপজেলার ১৮টি গ্রামের স্কুল, ঘরবাড়ি, হাট বাজার, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ক্ষেত খামার, রিংওয়েল ও টিউবওয়েলগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এরমধ্যে সীমান্তবর্তী আন্দার মানিক বাজার, খুব্বাং বাজার, ঠেগামুখ বাজার, শ্রীনগর বাজার, কুকিছড়া বাজার, ভালুক্ক্যাছড়ি গ্রাম, তাগলকবাগ গ্রাম, ছোটহরিণা বাজারসহ বেশকিছু এলাকার প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া পারভিন জানান, উপজেলায় মোট ১৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক পরিবার রয়েছে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৫ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য বরাদ্দ ও শুকনা বিতরণ করা হচ্ছে।
ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, ফারুয়ার বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে এলাকার দোকানপাট ও বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের দূর্গতদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
তবে, ভারী বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেছে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক। এই সড়কের ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সড়কের পাশের ছড়ার পানির গতিপথ পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে সওজ বিভাগ। অন্যদিকে রাঙ্গামাটি-বান্দরবান-খাগড়াছড়ির সড়কের বিভিন্ন অংশের সড়কের মাটি সরে যাওয়ার এই দুই জেলার সাথে রাঙ্গামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সারাবাংলা/ওএম