দুই বছর পর ‘মশা মারার’ অভিযানে চসিক
১৬ জুলাই ২০১৯ ০০:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই বছর বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম নগরীতে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। ঢাকায় ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু ঠেকাতে সিটি করপোরেশন সোমবার থেকে এই ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ শুরু করেছে।
চিকনগুনিয়া ঠেকাতে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই থেকে দুই মাসব্যাপী মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছিল সিটি করপোরেশন। এরপর নালা-নর্দমা পরিষ্কারের ওপর জোর দিয়ে গত দুই বছর ধরে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো বন্ধ রেখেছিল সংস্থাটি। এবার চিকনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু ঠেকাতে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো শুরুর কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে নগরীর জামালখান ওয়ার্ডের ঝাউতলা সেবক কলোনিতে ওষুধ ছিটিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র।
এসময় মেয়র বলেন, ‘দেশের সংবাদপত্রের মাধ্যমে আমরা জেনেছি, ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু থেকে রক্ষার জন্য আমরা মশা নিধনের প্রোগ্রাম শুরু করেছি। পাশাপাশি নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। প্রতি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হবে। নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
মেয়র জানান, মধা নিধনের জন্য ২ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। পুরো কার্যক্রম তিনি নিজেই মনিটরিং করবেন।
নগরবাসীর কারও জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ভর্তির আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩৫০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন আছে। ফগার মেশিনের সাহায্যে এডাল্টিসাইড ওষুধ ধোঁয়া আকারে ছিটানো হচ্ছে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে ১০ লিটার পানিতে ২০ সিসি লার্ভিসাইড মিশিয়ে ছিটানো হচ্ছে।
নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে ১৬১ জন স্প্রেম্যান বিশেষ মশক নিধন অভিযানে ওষুধ ছিটানোর কাজ করছে। এই কর্মসূচির জন্য এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কিনেছে সিটি করপোরেশন।
মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন ও মনোয়ারা বেগম মনি, জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম ও সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ৃয়া, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমআই