আজ সাক্ষ্য দেবেন মাদরাসার কেন্দ্র সচিবসহ ৩ জন
১৬ জুলাই ২০১৯ ১৩:১৮
ফেনী: ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য দেবেন সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, ওই মাদরাসার ছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী ও বিবি জাহেদা বেগম তামান্না।
আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসেই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। পাশাপাশি সাক্ষীদের জেরাও করছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
সোমবার (১৫ জুলাই) সোনাগাজী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু জানান, মঙ্গলবার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের পাশাপাশি জেরাও করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার ও শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন ও সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরি মো. ইউসুফ, সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
সারাবাংলা/এসএমএন