Friday 31 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১১ ব্র্যান্ডের দুধেই মাত্রাতিরিক্ত সিসা, তিনটিতে ক্যাডমিয়াম


১৬ জুলাই ২০১৯ ১৭:৩৫ | আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ১৮:০৮

ঢাকা: বাজারের ১৪টি কোম্পানির ১১টি পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে সবকটিতেই অতিরিক্ত মাত্রার সিসা ও উচ্চমাত্রার ক্যাডমিয়াম (মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ধাতব পদার্থ) পাওয়া গেছে ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার শুনানিতে এমন প্রতিবেদন জমা দেয়  নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।আদালতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

আদালতে দাখিল করা ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) অনুমোদিত বাজারের ১৪ কোম্পানির মধ্যে ১১টি পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে এর সবকটিতেই অতিরিক্ত মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত সিসা পাওয়া গেছে -মিল্ক ভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ঈগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং, প্রাণ মিল্ক, পিউরা, আয়রন ও সেফ ব্র্যান্ড।

এছাড়া মিল্ক ভিটা, আল্ট্রা ও পিউরা এই তিনটিতে পাওয়া গেছে ক্ষতিকর ক্যাডমিয়াম (Cadmium) ।

রাজধানীর ৬টি ল্যাব- বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ, পারমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবি’তে এসব দুধ পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবগুলোতে পাস্তুরিত ও খোলা দুধ এবং গোখাদ্য পরীক্ষা করার জন্য পাঠায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন : কোনো অজুহাত নয়, আমরা বিশুদ্ধ দুধ চাই: হাইকোর্ট

গত ১১ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘দেশে পুষ্টির অন্যতম প্রধান জোগান হিসেবে বিবেচিত গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত খাদ্যে এবার মিলেছে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান।’

বিজ্ঞাপন

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ তথ্য প্রকাশ করে সরকারের জাতীয় নিরাপদ খাদ্য গবেষণাগারের প্রতিবেদনে। জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে।’

পরে আদালত দুধে সিসা মিশ্রণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। এছাড়াও রুলে দুগ্ধজাত খাবারে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি খাদ্যে ভেজালের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

পাশাপাশি আদালত ঢাকাসহ সারা দেশের বাজারে কোন কোন কোম্পানির দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যে কী পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া, কীটনাশক এবং সিসা মেশানো রয়েছে, তা নিরূপণ করে একটি জরিপ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেন। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর