উল্লাপাড়া ট্র্যাজেডি: ফুলশয্যা হলো না সুমাইয়া-রাজনের
১৬ জুলাই ২০১৯ ২০:৫৯
সিরাজগঞ্জ: বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে ছিল দিনভর উৎসবমুখর ভাব। আলতাফ হোসেন তার ছেলে রাজনের বিয়েতে করেছিলেন সব আয়োজন। আত্মীয়-স্বজনের ভরপুর ছিল বিয়েবাড়ি। কিন্তু একটি দুর্ঘটনায় সেই বাড়িতে নেমে আসে শোকের মাতম। সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় বর-যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে পদ্মা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় বর রাজন ও কনে সুমাইয়া খাতুনসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে সিরাজগঞ্জ সদরের উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন বাড়ি গেলে মৃত রাজন শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় নিস্তব্ধ শোকাবহ পরিবেশ। চোখের পানি ফেলছেন দুর-দুরান্ত থেকে আসা শত শত নারী-পুরুষ। রাজনের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা তাদের জানা নেই।
আরও পড়ুন: মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা, বর-কনেসহ ৯ জনের মৃত্যু
অথচ গতকাল সোমবার সকাল থেকেই উৎসবে মাতোয়ারা ছিল এই বাড়িটি। অতিথিদের পাদচারণায় মুখরিত ছিল বাড়ির আঙিনা। একমাত্র ছেলে রাজনের বিয়ের উৎসবে হাজির হয়েছিলেন অনেক আত্মীয়-স্বজন। তারা ভাবতেও পারেননি এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন।
এ সময় এই প্রতিবেদকের কথা হয়, বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, নাটক-সিনেমা ছাড়া এমন দৃশ্য আগে কখনো তারা দেখেননি। আল্লাহ যাতে এমন শোক আর কাউকে না দেন।
প্রতিবেশীরা আরও জানান, বিয়ের জন্য দুপুরে দুটি মাইক্রোবাসে প্রায় ৩০ জন বরযাত্রী নিয়ে যান তারা। উৎসবমুখর পরিবেশে সেখানে বিয়েও হয়ে যায়। বর-কনে কবুল পাঠ করে একে অপরকে জীবনসঙ্গী করে নেন। নবধূকে নিয়ে ফেরার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বউ-কনেসহ তাদের নিকটাত্মীয়রা।
রাজনের বাড়িতে ফুলশয্যার ঘরটি এখনো সাজানো। বাড়িতে শুধুই স্বজনের আহাজারি।
সারাবাংলা/এনএইচ