নুসরাতের পরীক্ষার ফলও এলো
১৭ জুলাই ২০১৯ ১৪:২৯
ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক সমমানের (আলিম) পরীক্ষায় দুটোfবষয়ে োঅংশ নিতে পেরেছিলেন ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। কোরআন মাজিদ ও হাদিস বিষয়ের উভয়টিতে নুসরাত ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন। বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে না পারায় তাকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে।
শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর নুসরাত আর পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারেননি। ৬ এপ্রিল আরেকটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে খুনিরা নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর পাঁচদিনের মাথায় পরে ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান। ফলে কোরআন ও হাদিস বিষয়ের ওই দুটি পরীক্ষা বিষয়ে বাদে বাকি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নুসরাতের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
এর আগে, গত ৬ এপ্রিল আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদরাসার ছাদে কৌশলে ডেকে নেন হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা। সেখানে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে নুসরাতের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর চারদিন পর ১০ এপ্রিল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাতের মৃত্যু হয়।
ফলাফল প্রকাশের দিনে নুসরাত হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলায় ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আজ বুধবার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে বেলা ২টায় এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৬ জুন শাহবাগ থেকে মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে সোনাগাজী সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ওসি মোয়াজ্জেম নিয়ম ভেঙে নুসরাতের বক্তব্য ভিডিওধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন:
- যেভাবে পোড়ানো হয় নুসরাতকে, পিবিআইয়ের সচিত্র বিবরণ
- নুসরাত নিপীড়নের মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ
- নুসরাত হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আদালতে অজ্ঞান নুসরাতের মা
- অধ্যক্ষ সিরাজকে বেত দিয়ে মেরেছিলেন নুসরাতের মা
সারাবাংলা/টিএস/একে