Wednesday 09 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মান্দায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪শ পরিবার পানিবন্দি


১৭ জুলাই ২০১৯ ১০:২৯ | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১০:৩১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নওগাঁ: উজান থেকে নেমে আসা এবং গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মান্দা উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় চারশ পরিবার।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, জেলার মান্দার আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া এ উপজেলার জোতবাজার পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার, ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার এবং শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর ৯৮ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মান্দায় আত্রাই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে রাতে শহরবাড়ি ভাঙ্গীপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে চার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পাজরভাঙা বেড়িবাঁধ ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়রা বস্তা ও বাঁশ দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।

এছাড়া মদনচক,বানডুবি, বাগাতিপাড়া, জোতবাজার, গোয়ালমান্দা, পারনুরুল্লাবাদ, কালিকাপুর, কামারকুড়ি, ছোটবেলালদহ, খুদিয়াডাঙ্গা, বুড়িদহ, পশ্চিম নুরুল্লাবাদ, নিখিরাপাড়া, করাতিপাড়া, জোকাহাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধ, চকরামপুর, কয়লাবাড়ি, বটতলা বাজার, দ্বারিয়াপুর বেড়িবাঁধ, খুদিয়াডাঙ্গা পূর্বপারসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিত্বে পাহারা দিচ্ছেন। এসব এলাকার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন।

মান্দার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধিতে শহরবাড়ি ভাঙ্গীপাড়া এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত পানির চাপে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে চকরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিমধার, কয়লাবাড়ি ও বটতলা এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ফলে দুইধারের মাটি কেটে গিয়ে বাঁধগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এসব পুরাতন বাঁধে রয়েছে ইদুরের অসংখ্য গর্ত। নদীর পানির চাপের কারণে এসব গর্ত দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এতে একসময় বাঁধ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা দাবি করেন,  শুষ্ক মৌসুমে এসব স্থান সংস্কার করা হলে বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারতেন তারা।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নওগাঁর কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো কোথায় বাঁধ ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। তবে মান্দার বিষ্ণপুরে বেড়িবাঁধ ভাঙার যে ঘটনা ঘটেছে সেটা পাউবোর মধ্যে পড়ে না। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে এ বেড়িবাঁধ করা হয়ে থাকে।

নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা একেএম. মান্নান বলেন, যে কোন ধরনের দূর্যোগ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের ২শ টন চাল এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার (চাল, ডাল, চিনি, তৈল, চিড়া, মোমবাতিসহ আনুষঙ্গিক) মজুদ আছে। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে।

সারাবাংলা/আইই

নওগাঁ পানিবন্দি বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যা