Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফেসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কি নিরাপদ?


১৮ জুলাই ২০১৯ ১৭:২০

সম্প্রতি জনপ্রিয় হওয়া ফেসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে হাজারো ব্যবহারকারীরা তাদের ছবির বৃদ্ধ এবং কমবয়স্ক ভার্সন তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করছেন। তবে সম্প্রতি এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর বিবিসির।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের যাবতীয় ছবিতে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে ফেসঅ্যাপ। আর ছবিগুলো বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত তথ্যগুলোরও যথেচ্ছ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এই অ্যাপের নির্মাতা জশুয়া নজ্জি টুইটারে জানিয়েছেন, ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোন থেকে অনুমতি ছাড়াই ছবি নিতে পারবে অ্যাপটি।

পরে ফ্রান্সের সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ ইলিয়ট এল্ডেরসান নজ্জির এই বক্তব্যের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে দেখেন, ফেসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সব ছবি নয় বরং তার নির্ধারণ করে দেওয়া ছবিগুলোতেই প্রবেশাধিকার পায়।

এদিকে ফেসঅ্যাপের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, কেবলমাত্র ব্যবহারকারীদের বাছাই করে দেওয়া ছবিগুলোতেই ফেসঅ্যাপের প্রবেশাধিকার থাকে। এবং আপলোড করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ছবিগুলো সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়।

ফেসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য এবং ছবি নিয়ে চেহারা শনাক্তকরণ এলগোরিদম প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে ব্যবহার করছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এই অ্যাপ পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী যুরোশ্লাভ গনশারোভ বিবিসিকে জানান, আমরা শুধুমাত্র ছবিগুলোর সম্পাদনা করে থাকি এছাড়া আর অন্য কোনো প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর ছবি ব্যবহার করা হয় না।

কেন ক্লাউডে না পাঠিয়ে স্মার্টফোন থেকেই ফেসঅ্যাপ ছবিগুলো সম্পাদনা করতে পারছে না? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, ফেসঅ্যাপ তাদের যাবতীয় কার্যক্রম রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে পরিচালনা করলেও তাদের সংরক্ষণ সার্ভারটি যুক্তরাষ্ট্রে।

বিজ্ঞাপন

সাইবার সিকিউরিটি গবেষক জেন ম্যানচুন ওং বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্মার্টফোন থেকে ছবি সম্পাদনা করতে গেলে, এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীর গতি সম্পন্ন হয় এবং ফোনের ব্যাটারি পাওয়ার দ্রুত নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবি এলিজাবেথ পটস বিবিসিকে বলেন, এই অ্যাপের শর্তের ভেতরেই উল্লেখ করা আছে যে, ফেসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহারকারীদের তথ্য কাজে লাগাতে পারে।

তবে ব্যবহারকারীদের কেউই যেহেতু এই সব শর্ত ঠিকমত পড়ে দেখেন না, সেই সুযোগই কাজে লাগাতে পারে এই অ্যাপের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান।

ফেসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য রাশিয়ায় পাচার করার বিষয়টি সম্পূর্ণই গুজব। আমাদের কর্মীরা ব্যবহারকারীদের তথ্য সামলাতে গিয়ে কিছুটা কাজের ভারে আক্রান্ত। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে আপলোড করার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ব্যবহারকারীর তথ্য সার্ভার থেকে যেন মুছে ফেলা হয়।

যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনার অফিস বিবিসিকে জানিয়েছেন, ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে তারা অবগত আছেন। প্রমাণ মিললেই এ ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নেবেন। তবে ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহার করার সময় শর্তগুলো সচেতনভাবে খেয়াল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/একেএম/এনএইচ

টুইটার ফেসঅ্যাপ যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া স্মার্টফোন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর