ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব ঢাকার
১৯ জুলাই ২০১৯ ১৭:৩৬
ঢাকা: ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ের মন্ত্রীদের নিয়ে সম্মেলন করতে চায় বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এই প্রস্তাব করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার (১৯ জুলাই) এই তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মূর্খতা, অজ্ঞতা এবং ঘৃণা বা বিকারগ্রস্ত মানসিকতা থেকেই সমাজে সহিংসতা এবং যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটে। তাই বিশ্বে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। সহিষ্ণুতার চর্চা, অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, বিভিন্ন বর্ণ- বা গোত্র বা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মানসিকতা গড়তে হবে। এই ধরনের চর্চা প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মীয় নেতা, সামাজিক নেতা, গণমাধ্যম নেতা, সুশীল সমাজসহ সকলকেই এক ছাতার নীচে এসে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ খুব শিগগিরই আঞ্চলিক পর্যায়ের মন্ত্রীদের নিয়ে এই ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করার প্রস্তাব দিচ্ছে।’
আব্দুল মোমেন আরও বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সকল ধর্ম বা বর্ণ বা গোত্রের মানুষের অধিকারের প্রতি বাংলাদেশ সচেতন। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই জিরো টলারেন্স নীতি পালন করছে। যে কারণে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে শান্তিতে বাস করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে বলেই দেশটিতে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছি।’
দুই দিনব্যাপী নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মূল বক্তা ছিলেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, যা খুবই উদ্বেগের। রোহিঙ্গা অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। এছাড়া রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে বিশ্বের ১০৬ টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। যার মধ্যে ৪০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআইএল/এনএইচ
ধর্ম সম্মেলন নিউইয়র্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন