পিপিপিতে হচ্ছে বিদ্যুতের ৪ সঞ্চালন লাইন
৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৫১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বিদ্যুৎখাতে প্রথমবারের মত পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি)-র আওতায় চার সঞ্চালন লাইন নিমার্ণের প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সরকারি অংশীদারিত্বের পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিগুলোও এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে এরইমধ্যে সাতটি প্রাইভেট কোম্পানি তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, আগ্রহ প্রকাশ করা এ সব কোম্পানি কোনো দরপত্র ছাড়াই সরাসরি চুক্তি করতে চায়। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১৯৯৭ সালে করা পাওয়ার জেনারেশন পলিসি পরিবর্তন বা সঞ্চালন লাইনের জন্য আলাদা আইন করার প্রস্তাব করেছে পিজিসিবি।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী এই চারটি প্রকল্প হল- ১৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলা-চৌমুহনী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ, ৭৪ দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীপুর-ভালুকা ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন, ৩৫ দশমিক ৯ কিলোমটার দৈর্ঘ্য সীতাকুণ্ডু-হাটহাজারী ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং ৪৪ দশমিক ৪ কিলোমটার দীর্ঘ বাগেরহাট-ভাণ্ডারিয়া ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ।
পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল-বেরুনী এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিবহনের জন্য বর্তমানে ১৯টি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বড় চারটি প্রকল্প পিপিপি’র আওতায় করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতের সঞ্চালন লাইন নিমার্ণ প্রকল্প পিপিপির আওতায় করতে হলে পৃথক পলিসি বা আইন প্রয়োজন। আমরা সে বিষয়ে বলেছি। আমরা চাই বিদ্যুৎ উৎপাদনের মত সঞ্চালন খাতেও প্রাইভেট কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করুক। এজন্য প্রয়োজন হলে ছোট ছোট প্রকল্পগুলোতে প্রাইভেট বিনিয়োগকারীদের সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরো জানান, চারটি লাইন পিপিপি’র আওতায় নেওয়ার কথা বলা হলেও এতে কী পরিমাণ টাকা খরচ হবে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই চারটি প্রকল্প নিমার্ণে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত ৪ জানুয়ারি পিজিসিবি’র কাছ থেকে চারটি সঞ্চালন লাইন পিপিপি’র আওতায় করার বিষয়ে প্রস্তাবনা আসে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এই চারটি প্রকল্প পিপিপির আওতায় করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুৎ খাতের বিনিয়োগ অনেক বড় বিষয়। একা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সরকারও চায় এই খাতে বেসিরকারি বিনিয়োগকারী আসুক। সঞ্চালন লাইন নিমার্ণে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা এলে আমরা সাধুবাদই জানাব।
আগামী বছরের মধ্যে দেশের সঞ্চালন লাইন দিয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিবহনের সক্ষমতা অর্জন করবে। এছাড়া ইতোমধ্যে নেয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামী বছরের মধ্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিবহন করা সম্ভব হবে।
সারাবাংলা/এইচএ/একে