‘ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে’
২০ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫২
ঢাকা: বাংলাদেশে গত কয়েকবছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ড. এডউইন স্যানিজা স্যালভেদর।
শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোনেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের বাসভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি ড. এডউইন স্যানিজা স্যালভেদর বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সিটি করপোরেশন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করতে চাই। তারই অংশ হিসেবে আজ মেয়ররের সাথে বৈঠক করেছি। দুই পক্ষের তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছি। কীভাবে আমরা এক সাথে কাজ করে সমস্যার সমাধান করতে পারি তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এডিস মশা বাংলাদেশে নতুন আসেনি, অনেক আগে থেকেই ছিল। এই সমস্যা মোকাবিলায় সঠিক পরিকল্পনা দরকার। আশেপাশের দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এবং বাংলাদেশে ডেঙ্গুর আগের বছরের চিত্র দেখলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার দিক থেকে সার্বিক পরিস্থিতি বেশ জটিল। তবে মহামারী বা আতঙ্কিত হওয়ার মত এখনও কিছু হয়নি।
‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি বাংলাদেশে উদ্বেগজনক কিনা’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যাগত দিক বিবেচনা করেন তাহলে আপনাদের মনে হবে এটি জটিল। যদি সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেন তাহলে দেখবেন যে, এটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সচেতনতার মাধ্যমে এটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।’
এসময় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট দিয়েছি। যেমন- ‘আমাদের ওষুধগুলো কার্যকর কি না’-তা পরীক্ষা করে দেখবে। ‘ওষুধে কোনো পরিবর্তন দরকার কি না। দরকার হলে তা কেমন হবে। ’- এসব তারা আমাদের অতি দ্রুততম সময়ে জানাবেন। সেই সঙ্গে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে নেওয়া যৌথ পদক্ষেপগুলো প্রতি সাত থেকে দশ দিন পরপর রিভিউ করা হবে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মেয়াদ উত্তীর্ণ বা অকার্যকর ওষুধ ব্যবহারের সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা নৌবাহিনীর সরবরাহকৃত ওষুধ ব্যবহার করে থাকি। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কথা যে বলা হচ্ছে, সেটি সঠিক নয়। তারপরও যদি ওষুধে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা পরীক্ষা করে খুব দ্রুত আমাদের জানাবেন। ’
মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- হেলথ ইমার্জেন্সির দল প্রধান হাম্মাম এল সাক্কা, আইভিডি ইম্যুনাইজেশন ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্টর রাজেন্দ্র বোহরা, ঢাকার বিভাগীয় সমন্বয়ক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম