স্কুল পড়ুয়া ও টোকাইরাও যখন জবি ছাত্রলীগের কর্মী
২১ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ও টোকাইদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে সম্মেলন কেন্দ্রে সৃষ্টি হয়েছে অযাচিত জটলা আর বিশৃঙ্গলা।
শনিবার নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘন্টা পর বিকেল ৩ টায় শুরু হয় জবি সম্মেলনের কার্যক্রম। সম্মেলনে বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে রঙ্গিন টি-শার্ট পরে ক্যাম্পাসের শোডাউনে অংশ নেন স্কুল পড়ুয়া, সদরঘাটের টোকাই, এলাকার বন্ধু, শ্রমিক, বৃদ্ধ এমনকি রিকশা চালকেরাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির ১ নম্বর যুগ্ন আহ্বায়ক জামাল উদ্দিনের কর্মীদের অধিকাংশই টোকাই, স্কুল পড়ুয়া রিকশা চালক আর শ্রমিক। এছাড়া স্কুল পড়ুয়া ছাত্র, টোকাইদের টাকার বিনিময়ে কর্মী সাজিয়ে নিয়ে আসেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক ইব্রাহিম ফরাজী, নাজমুল আলম, আল আমিন শেখ, তারেক আজীজ, সৈয়দ শাকিল। টোকাই, অছাত্র, শ্রমিক রিকশা চালক নিয়ে আসেন এসএম আকতার হোসাইন, নুরুল আফসার প্রমুখও।
অছাত্রদের নিয়ে আসায় অনেক জবি ছাত্রলীগ কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাদ্দাম হোসেন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, টাকা দিয়ে টোকাই, শ্রমিকদের নিজের কর্মী দাবি করে কি লাভ? এদের কারণে আমরা ঠিক মতো কোথাও বসতেও পারিনি।
এসব টোকাইদের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন খোদ জবি ভিসি। বহিরাগতরা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ঢুকে ভিসির সামনে জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকলে তিনি বলেন, যারা আমাকে চিনে না, তারা আমার শিক্ষার্থী নয়। এরা বহিরাগত।
পরে এদেরকে ভবন থেকে বের করে দিতে বলেন ভিসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতাদের কয়েকজন ব্যস্ততা দেখিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।
সারাবাংলা/জেআর/টিএস