ফের ‘সাদাপাথরে’ সাঁতার কাটতে নেমে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
২১ জুলাই ২০১৯ ০৪:৫২
সিলেট: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের পর্যটনস্পট ‘সাদাপাথর’-এ বেড়াতে গিয়ে ধলাই নদীতে তলিয়ে আরও এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২০ জুলাই) বিকেল তিনটার দিকে ‘সাদাপাথর’ এলাকায় ধলাই নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যান সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র সাইফুল ইসলাম (২৪)। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাইফুলের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে। ছয় বন্ধু মিলে সাদাপাথরে বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে মাঝির দেয়া লাইফ জ্যাকেট না পরেই তিনি পানিতে নামার চেষ্টা করেন। এসময় সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা রক্ষীরাও তাকে লাইফ জ্যাকেট পরার অনুরোধ করলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই তা না পরে পানিতে নামলে স্রোতে তলিয়ে যান সাইফুল।
সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।
এর আগে, গত ৭ জুলাই সাদাপাথর এলাকায় পানিতে ডুবে মারা যান সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র হাসানুর রহমান আবির। এরপর স্থানীয় প্রশাসন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিছানাকান্দি, ভোলাগঞ্জ ও সাদাপাথর পর্যটনস্পট ভ্রমণে পর্যটকদের সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। একই সঙ্গে পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করতে ও ১০ জনের বেশি লোককে নৌকায় না তুলতে পর্যটক বহনকারী নৌকার মাঝিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্তক করে দেয়া হয়। কিন্তু পর্যটকরা এসব নির্দেশনা না মানায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জি সারাবাংলাকে জানান, ওই এলাকায় পর্যটকরা গেলে পানিতে না নামার জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। কিন্তু এগুলো না মানার কারণে ওই কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই অভিজিত দাস ঘটনাস্থল থেকে সারাবাংলাকে বলেন, লাশটি গ্রহনের জন্য নিহতের ভাই এসেছেন। প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
সারাবাংলা/টিএস