চন্দ্রবিজয়ের ৫০ বছর, বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন
২১ জুলাই ২০১৯ ১২:৩৬
বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার মানুষ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে চন্দ্রবিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি পালন করেছে। খবর বিবিসির।
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই প্রথমবারের মত চাঁদে মানুষের পায়ের চিহ্ন এঁকে দেন নীল আর্মস্ট্রং। যদিও এ চন্দ্র অভিযানের মূল ক্রীড়ানক ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা।
চন্দ্রবিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আমেরিকার হোস্টনে স্পেস সেন্টারের অ্যাপোলো-১১ এর উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের পাশে দর্শনার্থী কেন্দ্রে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্যারাসুট প্রদর্শনী, ব্যান্ডদলের সংগীত পরিবেশনা এবং আর্মস্ট্রংয়ের চাঁদে পা রাখার মুহুর্তে নতুন বছর উদযাপনের মত করে কাউন্টডাউনের মধ্য দিয়ে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
ভার্জিনিয়ার স্মিথসোনিয়ান এয়ার এন্ড স্পেস মিউজিয়ামে অ্যাপোলো-১১ মিশনে ব্যবহৃত এবং প্রাপ্ত আর্টিফ্যাক্ট গুলোর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রদর্শনীতে নীল আর্মস্ট্রং এর ব্যবহার করা স্পেস স্যুটও স্থান পায়।
সিয়াটলের ফ্লাইট মিউজিয়ামে ১৯৬৯ সালে চাঁদে প্রথম অবতরনের মূল ভিডিওচিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রদর্শনীতে সমকালীন টেলিভিশনের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালের আবহ তৈরী করা হয়।
ওয়াশিংটন ডিসির মনুমেন্ট ও ন্যাশনাল মলে চন্দ্র অভিযানের সব ছবি নিয়ে ১৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার মানুষ এই প্রদর্শনী দেখতে ন্যাশনাল মলে ভিড় করে।
প্যারিসের গ্রান্ড প্যালাইসে চন্দ্রবিজয়কে মূল বিষয় হিসেবে রেখে একটি মাসব্যাপী শিল্পপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে বিশালাকৃতির এক চাঁদের রেপ্লিকা প্রদর্শিত হয়েছে।
মাদ্রিদে আর্টিস্ট স্পাই চন্দ্রবিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এক বিশাল সাইজের চাঁদ বানিয়ে ছাদের উপর থেকে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম
অ্যাপোলো-১১ ওয়াশিংটন ডিসি চন্দ্রবিজয় নীল আর্মস্ট্রং প্যারিস ভার্জিনিয়া মাদ্রিদ সিয়াটল হোস্টন