রাসেলকে প্রথম কিস্তি অর্থ পরিশোধে ৭ দিন সময় পেল গ্রিনলাইন
২১ জুলাই ২০১৯ ১৪:১৯
ঢাকা: যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে মাসিক ৫ লাখ টাকার প্রথম কিস্তি পরিশোধে আরও ৭ দিন সময় পেল গ্রিনলাইন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ রাসলকে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করা হয়েছে ২৮ জুলাই।
গ্রিনলাইনের নতুন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২১ জুলাই) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম রাফি। এদিন রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খোন্দকার শামসুল হক রেজা ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
গত ১৫ জুলাই গ্রিনলাইনের আইনজীবী অজি উল্লাহ জানান, গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ আদেশ পালন না করায় আমি তাদের আইনজীবী থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরপর আদালত ২১ জুলাই দিন ঠিক করেন।
২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শঙ্কায় পড়ে তার জীবন।
একই বছরের ১৪ মে রাসেলকে ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছর ২০১৯ সালের ১৫ মে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও আর অর্থ পরিশোধ করেনি। আদালত ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা ৯ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেন।
গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষকে প্রতিমাসের ৭ তারিখের মধ্যে ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এরপর ১৫ তারিখে আদালতকে জানাতে হবে।
পা হারানো রাসেল সরকার রাজধানীর আদাবর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ে বসবাস করতেন এবং স্থানীয় একটি ‘রেন্ট-এ-কার’ প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেটকার চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সারাবাংলা/এজেডকে/এনএইচ