রেলে জ্বালানি তেল সরবরাহ ১ আগস্ট থেকে বন্ধ
২২ জুলাই ২০১৯ ০৮:০০
ঢাকা : আগামী ১ আগস্ট থেকে রেলওয়ের সব ধরনের জ্বালানি তেল ও লুব্রিকেন্ট সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন তিন তেল কোম্পানি। বারবার বলার পরও চুক্তি অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ না, চুক্তির শর্তাবলি ভঙ্গ করা এবং কোম্পানিগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দেওয়ায় তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে জ্বালানি তেল বাবদ পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ২১০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। গত ৯ জুলাই কোম্পানি তিনটি থেকে রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো পৃথক পৃথক চিঠিতে আগস্টের ১ তারিখ থেকে জ্বালানি তেল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কোম্পানিগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ সব তথ্য জানান।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর ছাইফুল্লাহ-আল-খালেদ এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জোন মিলে আমার কোম্পানি পাবে ৭৮ কোটি টাকার বেশি। বকেয়া পরিশোধে বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না। এদিকে বিপুল পরিমাণে টাকা বকেয়া থাকার কারণে আমাদের তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। যে কারণে আমরা এক আগস্ট থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান এ প্রসঙ্গে জানান, আমাদের বেশ কয়েকটি নতুন রুটে ট্রেন সেবা চালু হয়েছে। যে কারণে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ জন্য সরকারের কাছে আমরা আরও ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছি। এই বরাদ্দ পেলেই বকেয়া পরিশোধ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে জ্বালানি তেল সরবরাহকারী রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও তিনি জানান।
তিন কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো পৃথক পৃথক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রেলওয়ের উভয় জোনের (পূর্ব ও পশ্চিম) কাছে দীর্ঘদিন বিপুল পরিমাণ পাওনা অনাদায়ী রয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারল্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে অনাদায়ী অর্থ পরিশোধের বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মুল্য বাবদ প্রাপ্য অর্থ পরিশোধের অনুরোধ করে চিঠিগুলোতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্য বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে রেলওয়েতে বাকিতে আর জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে না। অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করলেই কেবল জ্বালানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া বকেয়া অর্থের ওপর চুক্তিনামার অনুচ্ছেদ ১১ (বি) অনুযায়ী সুদ আরোপ করা হবে।
সারাবাংলা/এইচএ/একে/টিএস