লবণের নামে সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধের দাবি
২২ জুলাই ২০১৯ ১৫:২৩
ঢাকা: দেশীয় শিল্পের স্বার্থ রক্ষা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় লবণের নামে বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি। একই সঙ্গে ঈদুল আজহায় কোরবানির চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে দেশে পর্যাপ্ত লবণের মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লবণ মিল সমিতি আয়োজিত ‘বিসিক’র তথ্য বিভ্রাট ও লবণ মিশ্রিত সোডিয়াম সালফেট আমদানি বন্ধকরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এসময় তুলে ধরা হয় লবণের বর্তমান পরিস্থিতি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি নুরুল কবির। তিনি ৪টি দাবি তুলে ধরে জানান, কোনোভামেই লবণের দাম বাড়ার শঙ্কা নেই। ৭৫ কেজি লবণের বস্তা ৭০০ টাকার ওপরে উঠবে না। লবণের নামে বিষাক্ত সোডিয়াম সালফেট আমদানিকারকদের সুবিধা দেওয়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখোশ উন্মোচনের সময় এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নুরুল কবির বলেন, ‘চাহিদা, উৎপাদন ও ঘাটতি নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে লবণমিশ্রিত সোডিয়াম সালফেট খেতে বাধ্য করা হচ্ছে সবাইকে। এই আমদানির কারণে লবণ কারখানাগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। চাষীদের লবণ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশীয় লবণ চাষী ও মিল মালিকদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সংগঠনের দাবিগুলো হলো- উৎপাদন ও চাহিদার সঠিক তথ্য নিরুপণ; সোডিয়াম সালফেটের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধকরণ; লবণ মিল মালিকদের ইস্যুকৃত বন্ড লাইসেন্স বাতিল ও নতুনভাবে কোনো বন্ড লাইসেন্স না দেওয়া ও দেশীয় লবণ মিল ও চাষীদের রক্ষায় দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে নুরুল কবির বলেন, ‘আমরা দেশীয় লবণ বাজারজাত করতে পারছি না। দেশীয় লবণ মিলগেটে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১১ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর বাজারে ১৮ থেকে সর্বোচ্চ ২২ টাকা। এটা আয়োডিন যুক্ত।’
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির সভাপতি নুরুল কবির আরও বলেন, ‘চামড়া ব্যবসায়ীরা কেন বলে ঈদের সময় লবণের দাম বেড়ে যায়, এটা আমি জানি না। আমার মনে হয় বাংলাদেশে এর চেয়ে সস্তা এবং কমদামে আর কোনো পণ্য নেই। বাজারে গেলে এক কেজি শাক কিনতেও ৫০ টাকা লাগে। চামড়া ব্যবসায়ীদের বলেন কেজি প্রতি ১০ টাকার মধ্যে তারা লবণ পাবেন। যদি না পায় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলবেন।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও