ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কিশোরীকে খুন, পালক পিতা গ্রেফতার
২২ জুলাই ২০১৯ ২০:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে এক পালক পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই কিশোরীর রক্তাক্ত মরদেহ গত ৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর খেজুরতলা এলাকায় রেললাইনের ওপর থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কিশোরীর মায়ের অভিযোগে পালক পিতাকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
রোববার (২১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মদের মহাল এলাকা থেকে অভিযুক্ত পালক পিতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার মো. নুরুন্নবীর (৪০) বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রূপকানিয়া গ্রামে। নুরুন্নবী পেশায় রাজমিস্ত্রি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পিবিআই পরিদর্শক (মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা।
সন্তোষ সারাবাংলাকে জানান, মৃত কিশোরী সোমা ধরের বয়স যখন চার বছর, তখন তার মা আরতি ধর ধর্মান্তরিত হয়ে নুরুন্নবীকে বিয়ে করেন। সোমা বেশিরভাগ সময় নগরীতে মাসির বাসায় থাকতো। মাঝে মাঝে মায়ের কাছেও যেত। নুরুন্নবী হত্যাকাণ্ডের আগের দিন তার স্ত্রী আরতিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে সোমাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার চাপ দেয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরদিন ৬ জুলাই আরতি তার মেয়ে সোমাকে নগরীর খেজুরতলায় মাসির বাসায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সোমা নগরীতে গেলে নুরুন্নবীও তাকে অনুসরণ করে। খেজুরতলা এলাকায় মাসির বাসায় যাওয়ার পথে ৬ জুলাই বিকেলে রেললাইনের উপর নুরুন্নবী সোমাকে গলা, ঘাড়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় সোমার মাথার সঙ্গে ছুরিও আটকে যায়।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ গিয়ে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশে স্যান্ডেল দেখে নূরুন্নবীকে হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহ করেন আরতি। তিনি রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রেলওয়ে পুলিশের অনুরোধে পিবিআই অভিযান চালিয়ে নুরুন্নবীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন সন্তোষ কুমার চাকমা। গ্রেফতারের পর নুরুন্নবী হত্যাকাণ্ড ও আরতির অভিযোগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছেন পিবিআই’র এই কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/আরডি/এমও