সার্জেন্ট কিবরিয়ার মৃত্যু: ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাবার রিট
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৫:০৬
ঢাকা: বরিশালে যমুনা গ্রুপের ‘যমুনা ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড অটো মোবাইল লিমিটেডের কাভার্ড ভ্যানচাপায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্ট রিট দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিহত কিবরিয়ার বাবা ইউনুস আলী সর্দার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
আগামী রোববার ২৮ জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানির হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ ফায়েজ।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ জানান, সমস্ত ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। পাশাপাশি রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় নিহত সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে পারিবারিক খরচ মেটাতে কিছু পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় বেপরোয়া চালকদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক নিয়মগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশদের কাজে নতুন আইন প্রয়োগ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশাল পুলিশ কমিশনার (বিএমপি), বরিশাল ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল, যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, যমুনা ইলেক্ট্রনিকস ও অটো মোবাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মো. আব্দুল জলিল মিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কভার্ডভ্যানের চাপায় আহত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ জুলাই মারা যান। দায়িত্ব পালনকালে একটি কাভার্ড ভ্যানকে থামতে বলেন, কিন্তু চালক না থামিয়ে চলে যেতে চাইলে কিবরিয়া তাকে ধাওয়া করে সামনে গিয়ে আবারও থামার সংকেত দেন। কিন্তু চালক গাড়ি না থামিয়ে সার্জেন্টকে চাপা দেয়।
চাপা দেওয়ার ঘটনায় আটক কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। এছাড়া চালক মো. জলিল মিয়ার বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতিতে যান চালানো, সংকেত অমান্য, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি সম্পত্তির (মোটরসাইকেল) ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণসহ সাতটি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমও