দুই জেলায় বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৯:২৬
ঢাকা: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এবং দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বজ্রপাতে পাঁচজন মারা গেছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে দগ্ধ হয়েছেন আরও ১৫ জন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে মারা গেছেন নূরুল ইসলাম (৪৬), আব্দুল জব্বার (৪০), রফিকুল ইসলাম (৩৫), আবু সাঈদ (১৭) ও হিরোবালা (৩০)। এদের মধ্যে আবু সাঈদের বাড়ি রাণীশংকৈল উপজেলায়। বাকি তিনজনের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গীতে।
হিরোবালার বাড়ি চিরিরবন্দর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে মহাদানী গ্রামে। বজ্রপাতে তার দুইটি গরু মারা গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাব্বেরুল হক জানান, নূরুল ও রফিকুল আম বাগানের শ্রমিক। আব্দুল জব্বার কৃষক। বৃষ্টির সময় তারা কাজে ছিলেন।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান জানান, আবু সাঈদ বৃষ্টির সময় মাঠে হাঁস চরাতে গিয়েছিলেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবুল কাশেম জানান, বজ্রসহ বৃষ্টির পরে ১৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে নূরুল ইসলাম নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাকিদের শরীর বজ্রপাতে ঝলসে গেছে। সোবহান আলী (৪০) ও বাবুল হক (২৮) নামে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিতে বলা হয়েছে।
চিকিৎসা নিচ্ছেন, তামিম (৪০), নূরল (২৪), রফিকুল (৫০), আবুল (১৭), শরীফা (২৮), আমান (২৫), মুসা (১৮), রাসেল (১৭), মীম (১৬), নাসির (৪৮), মোস্তফা (১৯), রাসেল রানা (১৪) ও মোহাম্মদ আলী (১৬)।
হিরোবালার প্রতিবেশীরা জানান, বাড়ির পাশে রেল লাইনের ধারে তার গরু বাঁধা ছিল। বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে তিনি গরু আনতে যান। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হিরোবালা ওই গ্রামের রঞ্জিত কুমার রায়ের স্ত্রী।
সারাবাংলা/এটি