যুক্তরাষ্ট্রে ‘নিরপরাধ’ বাংলাদেশি অধ্যাপক গ্রেফতার
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:১০
সারাবাংলা ডেস্ক
ঢাকা : যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের ক্যানসাস রাজ্য। রাজ্যটির লরেন্স শহরে গত ১৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করেন ৫৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী সৈয়দ আহমেদ জামাল। ৩০ বছর ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন- তিন সন্তানের সবারই জন্ম সেখানেই।
নিরুপদ্রব-নির্ঝঞ্ঝাট জীবন সৈয়দ জামালের। অথচ সেই সৈয়দ জামালকেই গত বুধবার সকালে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় দেশটির ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস বিভাগ (আইসিই)। অভিযোগ দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন তিনি। তবে ওই অধ্যাপকের পরিবার দাবি করেছে, পুলিশের কাছে জামালের অপরাধের কোনো তথ্য নেই।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার প্রকাশিত এক খবরে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, গ্রেফতারের সময়ে সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন সৈয়দ জামাল। কিন্তু আইসিই তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়।
জামালের পরিবারের সূত্রে সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন সৈয়দ আহমেদ জামাল। গ্রেফতারের সময়ে জামালের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের অস্থায়ী অনুমতিপত্র ছিল।
২০১৬ সালের নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্রতিজ্ঞা করেন দেশটি থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে বের করে দেবেন। ট্রাম্প আরো বলেন, কেবল অপরাধমূলক কাজে যারা জড়িত ছিলেন বা আছেন তাদেরকেই বের করে দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টই লিখেছে, সৈয়দ জামালের বিষয়টিই প্রমাণ করে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস বিভাগ নিরপরাধদেরও গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লরেন্স অবজারভারের বরাতে সংবাদমাধ্যমগুলো আরো জানায়, গ্রেফতারের সময় পুরো বিষয়টি যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না সৈয়দ জামাল। তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে দেখা করার পর আইসিই এজেন্টরা হ্যান্ডকাপ পরিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
গত কদিনে আইসিই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সৈয়দ জামালের বিষয়ে তার স্বজনরা এরইমধ্যে আইসিই’র কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে। তবে সংস্থাটির কাছ থেকে এখনও কোনো জবাব না পাওয়ায় শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি।
সারাবাংলা/এসবি/একে