তিন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
২৪ জুলাই ২০১৯ ০২:৩০
ঢাকা: দুই মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সম্মানী ভাতা স্থগিত করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ সচিব, সহকারী সচিবসহ ১১জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মো.তারিকুল ইসলাম।
পরে তিনি জানান, চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। সেই পরিপত্রে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে নিম্মোক্ত যে কোনো একটি প্রমাণে নাম উল্লেখ থাকলে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির যোগ্য হবেন। ১.ভারতীয় তালিকা ২.লাল মুক্তিবার্তা ৩.বে-সামরিক গেজেট ৪.বাহিনী গেজেট।
তবে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের (বামুস) সনদধারী কোন ব্যক্তি/ব্যক্তিগণকে বা এ মন্ত্রণালয় থেকে যাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র/মুক্তিযোদ্ধা সাময়িক সনদ ইস্যু করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধ সম্মানী ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের নাম চারটির মধ্যে বর্ণিত যে কোনো একটিতে অবশ্যই থাকতে হবে।
আইনজীবী তারিকুল ইসলাম জানান, এ পরিপত্রের কারণে ৪৭ হাজার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। এর মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফিরোজ খান ও নাজির হোসেন এবং প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আক্য মং এর স্ত্রী মিশাং সংক্ষুব্ধ হয়ে পরিপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।
এ আইনজীবী আরও বলেন, তাদের নাম মুক্তিবার্তায় ছিলো। কিন্তু ওয়েবসাইটে সেটা আসেনি। এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষরিত সনদে ২০০০ সাল থেকে ভাতা পেয়ে আসছিলো। কিন্তু ২৪ এপ্রিলের পরিপত্রের কারণে তাদের ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। আজ আদালত ওই পরিপত্রের মাধ্যমে দুই মুক্তিযোদ্ধা এবং এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর সম্মানী ভাতা বন্ধ করা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
সারাবাংলা/এজেডকে/এসএ/একে