কেমন হচ্ছে বরিস জনসনের মন্ত্রীসভা?
২৪ জুলাই ২০১৯ ১১:০৮
টেরিজা মে’র পদত্যাগের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনে জেরেমি হান্টকে পরাজিত করেছেন বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে তার। ইতোমধ্যেই তিনি মন্ত্রীসভা গঠনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন। বরিসের ঘনিষ্ট এক সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বাকিংহাম প্যালেসে রানীর কাছে শপথ নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে যাবার পরপরই,বরিস জনসন মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে (অর্থমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রী) কারা থাকছেন তাদের নাম ঘোষণা করবেন।
সূত্র জানিয়েছে, বরিসের মন্ত্রীসভায় থাকবে আধুনিক ব্রিটেনের প্রতিচ্ছবি। সেখানে নারীর প্রতিনিধিত্বের হার বাড়ানো সহ ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।
তবে বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুয়েন্সবার্গ জানিয়েছেন, নিজ দলের সব কোন্দলকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রীসভা ঘোষণা করা বরিসের পক্ষে একটু কঠিনই হবে।
ট্রেজারির দায়িত্বে থাকা চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ড আগেই জানিয়েছিলেন যে, বরিস প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি থাকছেন না। সেই পদে সাজিদ জাভিদ, ডমিনিক রব এবং লিয ট্রাসের যে কেউ অভিষিক্ত হতে পারেন।
বরিসের নেতৃত্বে মন্ত্রীসভায় থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন আইন মন্ত্রী ডেভিড গোকে, উন্নয়ন মন্ত্রী রোরি স্টোয়ার্ট। তাদের জায়গায় দেখা যেতে পারে বর্তমান আবাসন মন্ত্রী অলোক শর্মা এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ঋষি শুনাককে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে গোপন বৈঠকের অভিযোগে পদত্যাগ করা সাবেক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলকে আবারও এই মন্ত্রীসভায় দেখা যেতে পারে।
এছাড়াও, তহবিল তশ্রুফের দায় নিয়ে পদত্যাগ করা সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী ট্রেসি ক্রাউচকেও ডাকা হতে পারে নতুন এই মন্ত্রী সভায়।
সবকিছুর পরও, দলের ভেতরের প্রতিভাবানদের কাজে লাগিয়ে আধুনিক যুক্তরাজ্যের প্রকৃত প্রতিচ্ছবি মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসতে চান বরিস জনসন।
সারাবাংলা/একেএম