৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে কক্সবাজারের জেলেরা
২৪ জুলাই ২০১৯ ১৩:০৪
কক্সবাজার: মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে সাগর-নদীতে ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই)। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে দীর্ঘদিন পর বুধবার (২৪ জুলাই) সাগরে নামতে পেরে আনন্দিত মাছ ধরার কাজে সংশ্লিষ্ট কক্সবাজারের দুই লাখেরও বেশি মানুষ।
মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন পর্যন্ত সাগর-নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সরকারি নির্ধারিত এই সময়ে সারাদেশের মতো কক্সবাজারের প্রায় ৮০ হাজার জেলে সাগর-নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। বসে ছিলেন প্রায় ১০ হাজার মাছ ধরার ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা।
জেলেদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ত্রাণসহ নানা সাহায্য-সহযোগিতা করা হলেও তারা অপেক্ষায় ছিলেন সমুদ্রে যাওয়ার। ৬৫ দিন পর অপেক্ষা শেষ হওয়ায় এখন খুশি জেলে, ব্যবসায়ী ও বোট মালিকসহ এই সম্পদ আহরনের সঙ্গে জড়িত সবাই। এখন প্রশাসনের কাছে তাদের প্রত্যাশা জলদস্যু মুক্ত নিরাপদ সমুদ্র।
শহরের ফিসানি ঘাট এলাকার মাছ ধরার ট্রলারের জেলে মোহাম্মদ লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর সাগরে মাছ ধরতে যাবো। পরিবারে আবার স্বচ্ছলতা ফিরবে, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।’
ট্রলার মালিক মোহাম্মদ রফিক জানান, দীর্ঘদিন পর সমুদ্রে আবার ট্রলার যাবে। এতে খুবই খুশি লাগছে। ইতিমধ্যেই জাল থেকে শুরু করে সব প্রস্তুত রয়েছে। তবে ভয় হচ্ছে জলদস্যু। প্রশাসনের কাছে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
আরেক জেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কষ্ট হলেও প্রশাসনের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে মাছ ধরতে গিয়ে যেন জলদস্যুর কবলে না পড়ি। প্রশাসন যেন আমাদের সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।’
কক্সবাজার জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ্ আল মাসুদ (আজাদ) জানান, শত কষ্টের মাঝেও সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়নি জেলেরা। এই অবস্থায় সরকারের কাছে সব মৎস্য ব্যবসায়ীর একটাই দাবি, সমুদ্র যেন নিরাপদ থাকে।
জেলেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত করলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘জেলেদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। জলদস্যুদের আক্রমনসহ সবধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে প্রশাসন। সমুদ্রে পুলিশের পাশিাপাশি দায়িত্ব পালন করছে নৌবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।’
সারাবাংলা/এসএমএন