মিন্নিকে আইনি সহায়তা দেবেন খন্দকার মাহবুব
২৪ জুলাই ২০১৯ ১৫:২১
ঢাকা: বরগুনায় আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় আটক আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির মামলা হাইকোর্টে আসলে তাকে আইনি সহায়তা দেবেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বুধবার (২৪ জুলাই) সুপ্রিমকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, মিন্নির মামলাটি উচ্চ আদালতে আসলে অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা করা হবে।
নিম্ন আদালত বেপরোয়া হয়ে উঠছে উল্লেখ করে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমরা মনে করি রাজনৈতিক প্রভাবে আমাদের নিম্ন আদালতগুলো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমনকি সুপ্রিমকোর্টের আদেশকেও তারা অমান্য করছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, বরগুনায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমাণ্ডের পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যা সেটা বিচারে দেখা যাবে। আমাদের কথা হলো সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, যদি কাউকে রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। তাকে অবশ্যই বিচারিক আদালতে উপস্থিত করতে হবে। যাতে সে বলতে পারে রিমান্ডে থাকাকালিন অবস্থায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা। নির্যাতন যদি করা হয়ে থাকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা আমাদের সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা। তারপরও একজন নারীকে, তরুনী মেয়েকে একজন পুরুষ পুলিশ কর্মকর্তার হেফাজতে দেওয়া হলো। একবারও আদালত চিন্তা করলো না। তার উপরে কি ধরনের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন হতে পারে।’
তিনি বলেন, বিচারক কোনো রকম বিবেচনা না করে তাকে তদন্তকারি কর্মকর্তার হেফাজতে দিয়ে দিলেন। কিন্তু সে কথিত স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির পরে তাকে আদালতে না নিয়ে সরাসরি জেল খানায় পাঠিয়ে দেওয়া হলো।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘তার আইনজীবী আবেদন করলো আমরা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছি সেটা প্রত্যাহার করতে চাই। আপনি তাকে আদালতে আনেন। কিন্তু তাকে আনা হলো না। এইভাবে আইনের বরখেলাপ হচ্ছে। তারপরও আমাদের ফৌজদারি কার্যবিধিতে বিধান রয়েছে। যেকোনো অপরাধ আসামি যদি নারী হয়, যদি অসুস্থ হয়, তাহলে আদালত তাকে জামিন দেবেন। এক্ষেত্রে তার জামিনের আবেদন করা হলেও, আইনের সম্পূর্ণ বরখেলাপ করে রাজনৈতিক প্রভাবে অথবা একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে মামলার মূল আসামিরা যাতে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে সেই কারণে তাকে জামিন দেওয়া হলো না। এটাও আইনের বরখেলাপ।’
সারাদেশে হত্যা, গুমের মহাপ্লাবন চলছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর আস্থা নাই। সেই কারণেই তারা এইভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন।
সুপ্রিমকোর্টের কাছে লিখিত কোনো আবেদন করে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মাহবুব বলেন, আমি করিনি। আমি তো আইনজীবী। এটা কোর্টের দায়িত্ব। তাকে যদি জামিন না দেওয়া হয় তাহলে আমরা অবশ্যই উচ্চ আদালতে যখন আসবে তখন আমরা এর প্রতিবাদ করবো।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম