রোহিঙ্গাদের মতোই এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা বেশি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২৫ জুলাই ২০১৯ ১৬:০০
ঢাকা: এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতাকে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তুলনা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু (এডিস) মশা অনেক হেলদি। তাদের প্রজনন ক্ষমতাও বেশি। রোহিঙ্গাদের মতই তাদের প্রজনন ক্ষমতা। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি ‘
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ আপডেট শীর্ষক এক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু জরে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অনেক উন্নত দেশে ডেঙ্গু হ্যান্ডেল করতে পারছে না। যা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা পারছে। যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তারা যেন ভাল চিকিৎসা পায়। মৃত্যুর কোলে ঢলে না পরে। সেজন্য এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ জন রোগী মারা গেছে। ভাল চিকিৎসা না হলে আরও বেশি মারা যেত।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হোক আমরা চাইনা। গত বছর থেকে আমরা ডেঙ্গু রোগী হ্যান্ডেল করছি। মশা মারার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। আমাদের দায়িত্ব চিকিৎসা দেওয়া। তবে আমরা এক যোগে কাজ করতে চাই। গত বছরের তুলনায় এবার এডিস মশা বেশি। তাই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।
সিটি করপোরেশনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ভাল ওষুধ স্প্রে করেন। যাতে এডিস মশা না বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম বলেন, দেশে অনেক এডিস মশা সরবরাহ আছে। সরবরাহ বন্ধ হলে ডেঙ্গু কমে যাবে। চলতি মাসের ২২ জুলাই ভর্তি ছিল ৪০৩ জন, ২৩ জুলাই ছিল ৪৭৩, ২৪ জুলাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬০ জনে। বর্তমানে ২০৮৫ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, আসাদুল ইসলাম স্বাস্থ্য সচিব, শেখ ইউসুফ হারুন শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন, ও স্বাচিপের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ সহ আরো অনেকে।
সেমিনারে ডেঙ্গুর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যপক ডা. কাজী তরিকুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবোদ আমিন।