Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি


২৫ জুলাই ২০১৯ ২১:০৯

কুড়িগ্রাম: ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি ফের অবনতি হয়েছে। এতে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষেরা।

গত এক সপ্তাহে নদ-নদীর পানি কমে বিপৎসীমার নিচে নামলেও মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ধরলার পানি বিপৎসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার এবং নুন খাওয়া পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তার পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচে অবস্থান করছে।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকদিন আগের বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে বন্যা কবলিত হওয়া দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজন। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার শিবের ডাংরী গ্রামে বন্যার পানিতে পড়ে জাহাঙ্গীর আলমের দুই বছরের শিশু হাসানের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বন্যায় কুড়িগ্রামে ১৩ শিশুসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূতে জানা গেছে, জেলার বন্যা কবলিত ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারিভাবে ১ হাজার মেট্রিকটন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যাক্তি উদ্যোগেও সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো. এনামুর রহমান। এর আগে দুপুরে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অংশ নেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

অবনতি কুড়িগ্রাম বন্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর