Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেছাতে পারে খালেদার রায়!


৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২০:৫২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার  বিরুদ্ধে দায়ের জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় দেওয়া হবে দুইদিন বাদেই। এ মামলার যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে গত ২৫ জানুয়ারি রায়ের  দিন ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫। এই আদেশে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করেন বিচারক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান।

কিন্তু এরপর থেকেই গত ১১ দিনে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রায়ের দিন ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা গুঞ্জন। সাম্প্রতিক নানা ঘটনার কারণে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে ৮ ফেব্রুয়ারি রায় হচ্ছে না তারিখ পেছাচ্ছে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ  একাধিক আইনজীবী সারাবাংলকে জানান, রায় ওইদিন হবে কিনা –তার এখতিয়ার একমাত্র আদালতের। তবে আমরা গুঞ্জন শুনছি রায়ের তারিখ পেছাবে।

ওইদিন বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আদালত প্রাঙ্গণে তাদের সরব উপস্থিতিও থাকবে বলে জানান তারা।

তবে আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিচারবিভাগ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন,তাই রায় বা রায়ের তারিখ সবই আদালতের নিজস্ব বিষয়। এছাড়া এ মামলায় পক্ষ দুইটি-দুর্নীতি দমন কমিশন ও আসামিপক্ষ।’ সরকারের এখানে কোনো ভূমিকা নেই বলেও জানান তিনি। কিন্তু এই রায়কে ঘিরে বিএনপি কোন বিশৃঙ্খলা করলে দেশের মানুষ তা প্রতিহত করবে বলেও জানান রেজাউল করিম।

এদিকে, বিএনপিরএকাধিক আইনজীবী নেতা জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রায় হচ্ছে না বলে তারাও নানা মহল থেকে জেনেছেন। এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন সারাবাংলাকে জানান, বিচারক রায়ের তারিখ পরিবর্তের এখতিয়ার রাখেন, তবে তা রায়ের দিনই ঘোষণা করবেন তিনি। আগেভাগেই এ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না।তবে আমরা গত কদিন ধরেই গুঞ্জন শুনছি যে রায়ের তারিখ পেছাবে।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপির বিষদাঁত কতটা শক্তিশালী তা পরীক্ষা করেতেই সরকারের এসব আয়োজন। শুধু শুধু ৮ ফেব্রুয়ারিকে সামনে ঝুলিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারসহ নানা দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে সরকার।

তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, রায়ের দিন মফস্বল থেকে আসা নেতা-কর্মীরা আটক হবে। তাদের ওপর আরও জুলুম করা হবে।

তিনি জানান, রায়ের তারিখ পেছানোর গুঞ্জন শুনছি। তবে এই গুঞ্জন সরকারের পক্ষ থেকেও চালানো হতে পারে। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা সব শক্তি নিয়ে ওইদিন রাজপথে থাকবে এটা সরকার জানে। তাই দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টাও হতে পারে এটি।

রায়ের দিনের আইনী প্রস্তুতি তাদের আছে জানিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সাজা যদি এক বছরের বেশি হয় তবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে। কিন্তু যদি সাজা এক বছরের নিচে হয় তবে আদালত জামিন দিতে পারেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

সারাবাংলা/জেডএফ

 

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর