‘সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই হতে হয় আসামি’
২৭ জুলাই ২০১৯ ১৭:৫৮
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ বলেছেন, বর্তমানে সরকারের কর্মকাণ্ডের কোনো সমালোচনা করা যায় না। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই আসামি হতে হয়।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়া পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শনিবার (২৭ জুলাই) কবীর মুরাদ এ সব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘চেয়ারপারসনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেত্রীকে আজ বিনা অপরাধে জেল খাটানো হচ্ছে। এদেশে আইনের শাসন ব্যবস্থা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের নেত্রীকে কারাগারে বন্দি রাখার মাধ্যমেই আমরা দেখছি যে দেশে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মহা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র বলে কোনো কিছু নেই। আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে দেশকে বাকরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ আর কেউ নিজের দাবির কথা বলতে পারে না।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবীর মুরাদ, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা.আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা।
জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা.আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘সরকার আজ দেশকে গনতন্ত্রের বলয় থেকে বের করে স্বৈরশাসনের মাধ্যমে দেশকে পরিচালনা করছে। তার অন্যতম উদাহরণ হলো বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে আটক রাখা।’
তিনি আরোও বলেন, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি নামে খ্যাত বেগম জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলা সাজিয়ে দিনের পর দিন জেল খাটানো হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করা। আইনের মাধ্যমে না হলে আমরা কঠিন কর্মসূচির মাধ্যমে নেত্রীকে জেল থেকে বের করে নিয়ে আসবো। সারাদেশের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা মাঠে নামব।’