Saturday 28 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডেঙ্গু: ঢাকা শিশু হাসপাতালে চালু হলো ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার


২৭ জুলাই ২০১৯ ২৩:০২ | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৮
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে চালু করা হয়েছে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার। শনিবার (২৭ জুলাই) চালু হওয়া বহির্বিভাগ সেবা প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার থেকে বিনামূল্যে ‘কুইক সার্ভিস’ পাবেন সেবা গ্রহীতারা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এক থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সেবা দেওয়া হবে।

ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার বীণা বাড়ই। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, শিশুদের ডেঙ্গু নিয়ে অভিভাবকরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। জ্বর হলেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। যে কারণে শুরুতেই আমরা জ্বরের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি এবং কুইক সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করছি।

বিজ্ঞাপন

বীণা বাড়ই আরও বলেন, তিন দিনের জ্বর হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছি এবং আধা ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিচ্ছি। আর ডেঙ্গু পরীক্ষায় কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমরা এই সেবা দিচ্ছি।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক সৈয়দ শাফি আহমেদ বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে। তারই অংশ হিসেবে আমরা এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করেছি। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৬৬৬টি। ফলে সবাইকে তো আমরা ভর্তি রেখে সেবা দিতে পারবো না, তাই বহির্বিভাগে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর শারীরিক অবস্থা ‘ক্রিটিক্যাল’ হলেই কেবল আমরা ভর্তি নিচ্ছি। আজও (শনিবার) আমরা নতুন ৮৯ রোগীকে ভর্তি নিয়েছি। বাকিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাসায় রেখে চিকিৎসা দিতে।

তিনি বলেন, প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের কাছে নতুন নতুন রোগী আসছে। প্রতিদিন ৬০ থেকে ৮০ জনকে আমরা নতুন রোগী হিসেবে পাচ্ছি। সবাই আতঙ্কিত। এর আগে আমরা ‘ডেঙ্গু সেল’ করেছিলাম। ডেঙ্গু আক্রান্তদের জন্য আলাদা চিকিৎসক, নার্স দেওয়া হয়েছে। রাতের শিফটে লোকবল বাড়ানো হয়েছে।

সৈয়দ শাফি আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশনের সহযোগিতা আমরা চেয়েছিলাম কিন্তু সাড়া পাইনি। যে কারণে নিজেদের উদ্যোগে হাসপাতাল এলাকায় পরিচ্ছন্ন এবং মশা মারার কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সবার উদ্দেশে বলতে চাই, ডেঙ্গু মোকাবিলায় মশা মারার কোনো বিকল্প নেই। নিজেদের উদ্যোগে মশা মারতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা আতঙ্কিত এটা ঠিক, তবে সতর্কতা এবং সচেতনাই পারে আমাদের নিরাপদে রাখতে। আমাদের হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সেটা শুধুমাত্র ডেঙ্গুর কারণে না। তাদের কিডনি জটিলতাসহ আরও অনেক সমস্যা ছিল। এখনো হাসপাতালের আইসিইউ এবং পিআইসিইউতে ১২ জন ক্রিটিক্যাল রোগী আছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে

টপ নিউজ ডেঙ্গু শিশু হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর