১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন ও বিক্রি ৫ সপ্তাহ বন্ধের নির্দেশ
২৮ জুলাই ২০১৯ ১৫:৪৭
ঢাকা: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ, মজুদ ও ক্রয় পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি উৎপাদিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ক্ষতিকর উপাদান থাকায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছেন আদালত।
কোম্পানিগুলোর পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে জমা দেওয়া চার প্রতিবেদনের বিষয়ের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
যে ১৪টি কোম্পানির দুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো— আফতাব (আফতাব মিল্ক অ্যান্ড মিল্ক প্রোডাক্ট), ফার্ম ফ্রেশ (আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ), মু (আমেরিকান ডেইরি), মিল্ক ভিটা, ডেইরি ফ্রেশ (বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক অ্যান্ড ফুডস), আড়ং ডেইরি (ব্র্যাক ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রজেক্ট), আয়রান (ড্যানিশ ডেইরি ফার্ম), পিউরা (ইছামতি ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্ট), ইগলু (ইগলু ডেইরি), প্রাণ (প্রাণ ডেইরি), মিল্ক ফ্রেশ (উত্তরবঙ্গ ডেইরি), আল্ট্রা (শিলাইদহ ডেইরি), আরওয়া (পূর্ব বাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ) ও সেফ (তানিয়া ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস)।
এর আগে, আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ল্যাবরেটরি, আইসিডিডিআরবির ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (সাভার) ল্যাবরেটরি ও জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি দুধের নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়। ওই প্রতিবেদনগুলোর ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আদালত ২৮ জুলাই দিন ঠিক করেছিলেন।
গত ১৪ জুলাই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সকৃত পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারটি ল্যাব প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সব ল্যাবে দুধের অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, এসিডিটি, ফরমালিন ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওই প্রতিবেদন পৃথক পৃথকভাবে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
ওই আদেশের পর ২৩ জুলাই তিনটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ২৪ জুলাই দাখিল করা হয় আরেকটি প্রতিবেদন।
পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।