এশিয়ায় ভর করে বার্সার আয় হবে এক বিলিয়ন ইউরো!
২৮ জুলাই ২০১৯ ১৭:১৬
২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথমবারের মত স্পেনের ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার আয় ১ বিলিয়ন ইউরো স্পর্শ করতে যাচ্ছে। এশিয়ায় স্পনসরশিপ ও ডিজিটাল ব্যাবসা থেকে দ্রুত আয়ের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে যাচ্ছে ক্লাবটি। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট জোসেফ মারিয়া মার্তোমেউ নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান।
চলতি প্রাক-মৌসুমে দলের সঙ্গে এশিয়া সফর করছেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান ২০১৯-২০ মৌসুমে আয়ের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তা প্রায় এক বছর আগেই অর্জন করতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। এ জন্য তিনি এশিয়ায় দ্রুত ব্যবসা বৃদ্ধিকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মার্তোমেউ জানান, এশিয়ার নতুন স্পনসরদের জন্য ক্লাবের দরজা খোলা। নতুন স্পন্সরদের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সম্ভাব্য অংশীদারদের জন্য ক্লাবটি এখনও মুখীয়ে আছে। নতুন স্পন্সর কারা হতে পারে সে ব্যাপারেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বৈশ্বিক স্পন্সর হিসেবে কোনো এয়ারলাইন্স কোম্পানি ও স্থানীয় স্পন্সর হিসেবে কোনো ব্যাংক হতে পারে।
২০১৮-১৯ মৌসুমে ক্লাবের মোট আয় ছিল ৯৬০ মিলিয়ন ইউরো। এরপর লক্ষ্যমাত্রা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ২০২০ সাল নাগাদ আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ বিলিয়ন ইউরো। মার্তোমেউ দাবি করেন, তা খুব শীঘ্রই অর্জন করতে যাচ্ছে ক্লাবটি।
২০১৬ সালে জাপানের ই-কমার্স প্রতিষ্টান রাকুটেনের সঙ্গে জার্সির টাইটেল স্পন্সরের চুক্তি করে বার্সেলোনা। যা ক্লাবটির আয় বাড়াতে সাহায্য করে। ওই চুক্তির ফলে প্রতিদ্বন্দী রিয়াল মাদ্রিদকে আয়ের দিক থেকে পেছনে ফেলে বার্সেলোনা।
এর আগে এশিয়ায় আয় বাড়াতে ২০১৩ সালে ক্লাবের প্রথম বৈশ্বিক কার্যালয় খোলা হয়েছিল হংকংয়ে। এছাড়া প্রতি বছর প্রাক-মৌসুমে এশিয়া সফর করে দলটি। হংকংয়ের এই অফিসের মাধ্যমে এই অঞ্চলে স্পন্সর আকর্ষণের কাজ করে বার্সেলোনা।
মার্তেমেউ বলেন, এশিয়ায় তাদের ব্যাপক সমর্থক রয়েছে। এশিয়ায় জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারত সম্ভাব্য প্রধান প্রধান বাজার।
বার্সেলোনার আয়ের প্রায় ৭০ ভাগ খরচ হয় দলের তারকা খেলোয়াড়দের বেতন বাবদ। এর আগে গত মৌসুমে ৯৬০ মিলিয়ন ইউরো আয় করলেও মেসি, সুয়ারেজদের বেতন পরিশোদের পর ক্লাবটি লোকসানে রয়েছে বলে জানায়। এবার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট চাইবেন খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ার হারের চেয়ে ক্লাবের আয় বাড়ার হার বেশি হোক।