বিশ্ব বাঘ দিবস আজ
২৯ জুলাই ২০১৯ ০১:০১
‘বাঘ বাড়াতে শপথ করি, সুন্দরবন রক্ষা করি’ এই স্লোগানে সোমবার (২৯ জুলাই) বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৯ পালিত হবে। বাঘের আবাসভূমি আছে এমন ১৩টি দেশে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে একযোগে দিবসটি পালন করা হবে।
বাংলাদেশে বাঘের সবচেয়ে বড় আবাসভূমি সুন্দরবন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ১০ হাজার বর্গকিলোমিটারের এই ম্যানগ্রোভ বন বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ সীমানায় অবস্থিত। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানা ধরনের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপ সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রানীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত এই সুন্দরবন। ২০১৮ সালে বন বিভাগ পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪।
এ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, বাঘ রক্ষা এবং তাদের বংশবৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার কাজ করছে। যার ফলাফল হিসেবে ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বন্যপ্রাণি শিকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক সুভাষ বিশ্বাস জানান, সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, আর বাঘ সুন্দরবন রক্ষা করে। তাই বাঘ রক্ষায় কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বাগেরহাট শাখা সভাপতি নূর আলম শেখ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, চোরা শিকারিদের হানা ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের জন্য বাঘের সংখ্যা কমে গেছে। সুন্দরবন ও বাঘের আবাসস্থল নিরাপদ রাখলে বাঘের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাবে।
বাঘ নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা টাইগার টিমের টিম লিডার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের অস্তিত্ব এবং বাঘ রক্ষায় কাজ চলছে। বন্যপ্রাণিরা লোকালয়ে আসলে এখন স্থানীয়রা তাদের হত্যা না করে বনে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয়।
এছাড়াও, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবন ও সকল বন্যপ্রাণি রক্ষার্থে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। একটি লোভী মহলের কবলে পড়ে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৬০০ থেকে ১১৪তে নেমে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হলে বাঘের সংখ্যা এত কমতো না।