কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি দুর্গতদের
২৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪৩
কুড়িগ্রাম : ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অববাহিকার বেশির ভাগ ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। ফলে এলাকার বানভাসী মানুষজন ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু রাস্তা-ঘাট এখনো পানির নীচে তলিয়ে থাকায় যাতায়াতের দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
দীর্ঘদিন পানিবন্দি জীবন যাপন করা বন্যা দুর্গত মানুষজন খাদ্য সংকটে ভুগছেন। চারণভুমি তলিয়ে গো-খাদ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষেরা গবাদি পশুর খাদ্যের জোগানও দিতে পারছেন না। এছাড়া, বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সহায়তার হাত বাড়িয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে বিপুল সংখ্যক বন্যা কবলিত মানুষের জন্য তা অপ্রতুল।
সদর উপজেলার পাঁছগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া গ্রামের মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী জাহানুর বেওয়া বলেন, ‘চলতি বন্যায় বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় রাস্তায় ১২ দিন পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন বাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়ায় বাড়িতে ফিরে এসেছি। কিন্তু বাড়ির চারিদিকে পানি থাকায় যাতায়াত করতে পারছি না। শুনতেছি অনেক রিলিফ দিচ্ছে কিন্তু আমিও এখনও কিছুই পাইনি। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাব তার উপায়ও নাই। আমার বিধবা ভাতাও নাই।’
এ বিষয়ে পাঁছগাছী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ বন্যা দুর্গত। আমি ১৭ মেট্রিক টন ত্রাণের চাল পেয়েছি যা ১০ কেজি করে ১ হাজার ৭শ পরিবারকে দিয়েছি। সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়নি। ভিজিএফ’র চাল পেলে যারা পায়নি তাদের দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, সরকারীভাবে এ পর্যন্ত বন্যা দুর্গতদের জন্য এক হাজার মেট্রিক টন জিআর চাল, ১০ হাজার ৫শ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং শিশু ও গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জেই/কেকে