বিএসএমএমইউতে ৪ দিনে ১ হাজার ডেঙ্গু রোগী, ৭ মাসে ৬ হাজার টেস্ট
৩০ জুলাই ২০১৯ ২১:২৬
ঢাকা: এ বছরের ২৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত গত চারদিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এছাড়া ১১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত গত সাত মাসে ছয় হাজার জনের ডেঙ্গু টেস্ট করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক পরিসংখ্যানের ফল তুলে ধরেন। সেখানে এ সব তথ্য জানানো হয়।
এখন পর্যন্ত যারা ডেঙ্গু টেস্ট করেছেন তাতে ২৬ শতাংশ মানুষের NS1 পজিটিভ এসেছে। ৬ শতাংশের IgM পজিটিভ এসেছে। IgM এবং IgE দুটোই পজিটিভ এসেছে পাঁচ শতাংশ মানুষের। এছাড়াও যাদের বয়স ১৬-৩০ বছরের মধ্যে তারাই বেশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ সময় অধ্যাপক সাইফ উল্লাহ বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। গত আটবছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ চিকিৎসক জানান, ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগ এসেছে। আগস্ট মাসেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জরিপে দেখা গেছে, যারা দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের এক থেকে পাঁচ শতাংশের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। নারীদের চেয়ে পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বরে। একইসঙ্গে চারটি সেরোটাইপেই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এখন পর্যন্ত সবাইকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেন জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে ২৫-২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এসেছেন। এদের মধ্যে ১৭৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ৮১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কোনও রোগী এখন পর্যন্ত এই হাসপাতালে মারা যাননি।’
হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ‘তিন-চারশ’ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী জ্বর নিয়ে আসেন বলেও জানান উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ।
তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন নতুন রোগী। আমাদের হাসপাতালে ২১ জন শিশু ভর্তি আছে। জটিল অবস্থায় আছেন ১২ জন। তাদের মধ্যে বয়স্ক আট ও শিশু তিনজন।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু সেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।