Tuesday 10 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এফ আর টাওয়ার নির্মাণে নকশা জালিয়াতি, রাজউক কমর্কতা কারাগারে


৩০ জুলাই ২০১৯ ১৮:১২

ঢাকা: বনানীর এফ আর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজউকের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ মো. সদরুল আলমকে (৫২) কারাগারে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম খায়রুজ্জামান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।

গতকাল (সোমবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর বনানী থেকে শাহ মো. সদরুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়।

চলতি বছরের ২৮ মার্চ এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৫ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭৩ জন আহত হন। এরপর গত ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪১১/১৬৬/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে এদিন আদালতে হাজির করা হয়।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

শুনানিতে দুদকের পক্ষ থেকে যা বলা হয়

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা, ১৯৯৬ এর বিধিবিধান লঙ্ঘন করে এফ আর টাওয়ার নির্মাণে ছাড়পত্র ইস্যু, ফি জমা ও নকশা অনুমোদন না করে অবৈধভাবে ১৯-২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ, বন্ধক ও বিক্রি করা হয়।

ঘটনার সময় আসামি শাহ মো. সদরুল আলম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সহকারী পরিচালক (এস্টেট) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, এফআর টাওয়ারের ১৯, ২০, ২১, ২২ ও ২৩ তলা নির্মাণে রাজউক এস্টেট শাখা থেকে কোনো ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। এমনকি ফি জমা ও নকশা অনুমোদনও করা হয়নি।

দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, আসামি জামিনে মুক্ত হলে মামলার আলামত নষ্ট ও সাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে তাকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।

এর আগে ৩ এপ্রিল নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বনানীর এফ আর টাওয়ার সংশ্লিষ্ট চারজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরদিন ৪ এপ্রিল এফ আর টাওয়ারের দুর্নীতি তদন্তে সরকারের ৯ সংস্থার কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় দুদক।

অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ দিয়ে রাজউক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে এফ আর টাওয়ার ২৩ তলা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এছাড়া এফ আর টাওয়ার ভবন এবং জমির মালিকদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে দুদকের হাতে।

আরও পড়ুন: এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতিতে রাজউক কমর্কতা গ্রেফতার

এফ আর টাওয়ার দুদক নকশা জালিয়াতি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর