Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুরনো জাহাজ আমদানি: ৬ ঋণখেলাপিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা


৩১ জুলাই ২০১৯ ১৮:০৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্যাংক থেকে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পুরনো জাহাজ আমদানি করে সেই অর্থ পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগে ৬ গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে তাদের আত্মসাতে সহযোগিতার অভিযোগে আরব-বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত কার্যালয়ে-২ পৃথক মামলা দু’টি দায়ের করেছেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক। দুদক আইন অনুযায়ী চট্টগ্রামের এই জেলা কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো দায়ের হওয়া মামলা দু’টি রেকর্ড করেছেন উপসহকারী পরিচালক নূরুল হক।

দু’টি মামলার মধ্যে একটি দায়ের হয়েছে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের ম্যাপস স্টিল করপোরেশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ৫৮ কোটি ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার আসামিরা হলেন— ম্যাপস স্টিলের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাতেমা বেগম মিলি, নির্বাহী পরিচালক হামিদুর রহমান, অর্থ পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, টেকনিক্যাল পরিচালক মো. কামাল উদ্দিন এবং এবি ব্যাংকের পাহাড়তলী শাখার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মহিউল আলী আজমী।

অন্য মামলাটি দায়ের হয়েছে একই এলাকার মেসার্স শাহেদ শিপ ব্রেকিংয়ের বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা হলেন— মেসার্স শাহেদ শিপ ব্রেকিংয়ের প্রোপাইটর মোহাম্মদ শাহেদ মিয়া ও এবি ব্যাংকের পোর্ট কানেকটিং রোড শাখার ইভিপি ও ম্যানেজার মো. নাজিম উদ্দিন।

দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক লুৎফুল কবীর চন্দন সারাবাংলাকে বলেন, ‘উভয় প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশ থেকে পৃথক দু’টি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করে। সেই জাহাজ কেটে বিক্রি করে। কিন্তু ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ না করে সেই টাকা আত্মসাত করে। মামলার আসামি দুই ব্যাংক কর্মকর্তা সহায়ক জামানত ছাড়া তাদের ঋণ দিতে সহযোগিতা করেন।’

লুৎফুল কবীর জানান, শাহেদ শিপ ব্রেকিং ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর ১৯ কোটি ৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঋণ মঞ্জুরীপত্রের শর্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ মে তাদের সুদসহ ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল।

ম্যাপস স্টিল ২০১২ সালের ২ আগস্ট ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ১৬ হাজার ঋণ নেয়। ঋণ মঞ্জুরীপত্রের শর্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৩০ মে তাদের সুদসহ ৫৮ কোটি ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধের কথা ছিল।

কিন্তু তারা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ না করে সেই টাকা আত্মসাত করে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

দুদক কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর চন্দন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুদক আইন অনুযায়ী এখন আমরা আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করব।’

অর্থ আত্মসাৎ জাহাজ আমদানি টপ নিউজ দুদক ব্যাংক ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর