‘ওসি মোয়াজ্জেম ধারণকৃত ভিডিও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে’
৩১ জুলাই ২০১৯ ১৯:১২
ঢাকা: ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে মানহানিকর প্রশ্ন ও যৌন হয়রানি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এ সময় মামলার বাদী সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ওসি মোয়াজ্জেম ধারণকৃত ভিডিও সমাজে অস্থিরতা তৈরি করেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ তাকে জেরা করেন। কিন্তু এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২০ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেন আদালত।
জবানবন্দিতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘৪/৫ জন মুখোশধারী নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর দুইদিন পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। তার মৃত্যুর পর আসামি কর্তৃক ধারণকৃত ভিডিওটি প্রকাশ হয়, যা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করে। এতে করে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ঘটে। আমি ভিডিওটি দেখার পর বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে এ ঘটনার বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করি। এ পরিপ্রেক্ষিতে আমি মামলাটি দায়ের করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন পুলিশ বিভাগের বড় একজন কর্মকর্তা ছিলেন। সোনাগাজী থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফির সাথে অধ্যক্ষের শ্লীলতাহানির অভিযোগের কথোপকথন রেকর্ড করেন। মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাত ও শিক্ষককে সোনাগাজী থানায় নিয়ে এসে নুসরাতকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আইন বর্হিভূতভাবে তার ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ভিডিওটি গত ১১ এপ্রিল সকালে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওতে দেখা গেছে যে, ওসি মোয়াজ্জেম মাদরাসা ছাত্রী রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে আপত্তি ও মানহানিকর প্রশ্ন করতে থাকেন।
বুধবার সুমনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ জেরা করেন। তার জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য নতুন করে দিন ঠিক করেন আদালত।
এরে আগে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম (শামীম) এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের আদেশ দেন।